জাতীয়, অর্থনীতি, রাজধানী, অন্যান্য

ঢাকার গ্যাস লাইন বেশিরভাগই জরাজীর্ণ!

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ১৯শে নভেম্বর ২০১৯ ০৮:৫০:৪৫ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশে জালের মত ছড়িয়ে থাকা গ্যাস পাইপ লাইনের বেশিরভাগই ৬০ বছরের পুরনো। পুরনো এসব লাইনের ক্ষতি বাড়াচ্ছে বিদ্যুৎ, পানি, ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানের। তার ওপর হাজার হাজার চোরাই সংযোগ গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণের ঝুঁকি তৈরি করছে।

বিতরণ প্রতিষ্ঠান তিতাস বলছে, পুরনো লাইন সংস্কার চলছে। এছাড়া, পুরো বিতরণ ব্যবস্থাই ঢেলে সাজাতে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে তিতাস।

সাত জনের প্রাণ কেড়ে নেয়া চট্টগ্রাম গ্যাস দুর্ঘটনার প্রকৃতকারণ এখনো উদঘাটন না হলেও বিশেষজ্ঞদের শক্ত ধারণা-গ্যাস লিকেজ থেকে এই বিষ্ফোরণ। চলতি বছর ২২শে এপ্রিল নারায়াণগঞ্জের রুপগঞ্জে গ্যাসের লাইন বিস্ফোরণে নিহত হন দুই জন। গতবছর ২রা নভেম্বর আশুলিয়ায় গ্যাসলাইন বিষ্ফোরণে দগ্ধ হন পাঁচ জন।

পুরনো ও জরাজীর্ণ লাইন থেকে গ্যাস লিকেজের কারণেই এসব দুর্ঘটনা বলে অভিযোগ রয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় বিতরন প্রতিষ্ঠান তিতাসের পাইপলাইনও বহু পুরনো। তার উপর বিপত্তি ঘটাচ্ছে ওয়াসাসহ অন্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো।

তিতাস গ্যাসের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের জিএম ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল ওয়াহাব তালুকদার বলেন, 'ঢাকা ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কে আমরা যে গ্যাস লাইন বসিয়েছি তার বয়স প্রায় ৬০ বছর। রাস্তা সরু হবার কারণে অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিস গুলো একই জায়গায় চলে আসার জন্য আমাদের গ্যাস লাইনগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ লিকেজগুলো সাধারণত বাসাবাড়ির সামনে এক ইঞ্চি যে লাইনগুলো রয়েছে সেগুলোতেই বেশি হয়ে থাকে।' 

মানহীন চোরাই গ্যাস লাইন থেকেও বিপদ বাড়ছে, স্বীকার করছেন তিতাসের কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন, 'এগুলো তারা রাতের আঁধারে করেছেন। রাতের আঁধারে যখন করেছেন তখন তারা তো মাননিয়ন্ত্রণ করে নাই। যার ফলে এ ধরণের দুর্ঘটনাটা ঘটা একদমই স্বাভাবিক। যারা চোরাই লাইন ব্যবহার করছে বা চোরাই লাইন বসিয়েছে, তারা যদি অবিলম্বে লাইনগুলো সরিয়ে না ফেলে তাহলে এ দুর্ঘটনার পরিমাণ বাড়বে।'

এ প্রসঙ্গে প্রধান বিস্ফোরণ পরিদর্শক মো. সামসুল আলম বলেন, 'মাটির নিচ দিয়ে বা মাটির ওপর দিয়ে যে পাইপলাইনগুলো যাচ্ছে সেগুলো ওয়েল্ডিং করা হয়। ওয়েল্ডিং-এর স্থানে কোন লিকেজ সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।'

তবে, দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদ থাকার জন্য স্থাপনার মালিক ও ব্যবহারকারীকেই সতর্ক থাকতে বলছে, বিষ্ফোরক পরিদপ্তর। অন্যদিকে, বাসাবাড়ির দুর্ঘটনার দায় নিতে চায়না তিতাস। এ প্রসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল ওয়াহাব তালুকদার বলেন, 'বাসার চুলা থেকে গ্যাস লিক হচ্ছে কিনা, সেটা দেখার দায়িত্ব বাড়ির মালিক বা ইউজারের। যিনি রান্না ঘরের মালিক তিনি দেখবেন বাড়ির গ্যাসের লাইন লিক হচ্ছে কিনা।'

পুরনো ও জরাজীর্ণ গ্যাস পাইপ লাইন সরানোর জন্য ১২ শ কোটির টাকার নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশ ও ট্রান্সমিশন কোম্পানি।    

আরও পড়ুন