রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে আবারো বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। আর কোভিড-নাইন্টিনের সবচেয়ে সংক্রমণশীল ধরন ‘ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট’ রাজধানী ঢাকায় ছড়িয়ে পড়লে দেশের করোনা পরিস্থিতির ফের অবনতি ঘটতে পারে-এমন আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
৮ই মে দেশে করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণশীল নতুন ধরণ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে আইইডিসিআর। সীমান্তবর্তী এলাকায় এই ভারতীয় ভ্যরিয়েন্টের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিক সংক্রমণ চলছে বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে আবারো বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। সেই সাথে সংক্রমণও উর্ধগতি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন,'এখানে একটু চাপ বাড়ছে। পারসেন্টেজ টেন প্লাস হয়ে গেছে আগে সংক্রমণের হার বিলো টেন ছিলো। পাশ্ববর্তী দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যেভাবে সংক্রমিত হচ্ছিল সেটাই আমাদের দেশে আসবে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে এটাই তো সাইন্স বলে।'
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ঢাকাসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সংক্রমণ যেনো না ছড়াতে পারে তার জন্য এখনই সরকারকে ব্যাবস্থা নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ান উর রহমান জানান,'রোগীগুলো যদি হাসপাতালে একসাথে আসে তবে তা কেপাসিটির বাইরে চলে যাবে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে লকডাউন, আইসোলেশন বাড়াতে হবে। গণজমায়েত বন্ধ করতে হবে। লোকজনের চলাচল সীমিত করলে ইনফেকশনটা আস্তে আস্তে হবে। তবে সংক্রমণ হবেই।'
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট পরীক্ষা করে জানিয়েছে, সংক্রমিত বিভিন্ন এলাকায় করোনাভাইরাসের চারটি ধরন পাওয়া গেছে। তবে এর মধ্যে ৮০ শতাংশই ভারতীয় ধরন বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।