করোনাভাইরাস মহামারির কারণে থমকে গেছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে বাধা নেই। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সতীর্থ শুভাকাঙ্খীরা। যুক্তরাষ্ট্রে সাকিব নিজেও আছেন কোয়ারেন্টিনে।
সাকিব আল হাসান, বাংলার ক্রিকেটের উজ্জলতম নক্ষত্র, বিশ্বের বুকে লাল-সবুজের ক্রিকেটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। টাইগার ক্রিকেটের কতশত অর্জন আর সাহসের হুংকার, বাঘের থাবায় বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছেন কত সাফল্যের গল্প।
বাংলার কোটি ক্রিকেট ভক্তের ভালোবাসার সাকিব, পা দিয়েছেন ৩৪-এ। ১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ খুলনায় মাগুরায় জন্মগ্রহন করেন ক্রিকেট রাজকুমার। সবার প্রিয় সাকিব আল হাসান নিজ এলাকায় পরিচিত ফয়সাল নামেই, আর ছোট্ট ফয়সালের প্রথম ভালোবাসা ক্রিকেট নয়, ফুটবল।
২০০৬ সালের ৬ আগস্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ডিয়ে লাল-সজুরের জার্সি ওঠে সাকিবের গায়ে, তবে ২০১৫ সালে সাকিবকে নতুন করে চিনেছে ক্রিকেটে বিশ্ব। ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটেই নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডারের আসনটা দখল করে নেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। মাঝে মধ্যে স্থান হারিয়েছেন ঠিকই তবে আবারও ছিনিয়ে নিয়েছেন বীরের মতো।
বিশ্বে ক্রিকেটে একজন সাকিব আল হাসানের উত্থান দেখতে শতবছর অপেক্ষায় থাকতে হয়, তার প্রামাণ নিজেই দিয়েছেন সাকিব, ২০১৯ বিশ্বকাপে, ৮ ম্যাচে ৫টা ফিফটি আর দুটো হানড্রেড, মোট রান ৬০৬ উইকেট ১১টা, যা কিনা ক্রিকেটের সব রোথি মহারথিদেরও অবাক করে দিয়েছিলেন।
চাঁদেও তো কলঙ্ক আছে, মহান ব্যক্তিদের জীবনে থাকে কালো অধ্যায় তেমনি সাকিবের বর্ণিল ক্যারিয়ারেও আছে বিষের নীল ফোটা। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার কথা আইসিসিকে না জানোনোয় গেল ২৯ অক্টোবর ১ বছর নিষেধাজ্ঞার সাথে সাকিবকে এক বছরের স্থগিতাদেশ দেয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
সব ভুলে ভক্তরা ভালোবাসেন সাকিবকেই, কালো দাগ মুছে বাঘের মতোই ফিরবেন সাকিব আল হাসান, জন্মদিনে এ প্রত্যাশাই আমাদের নাম্বার ওয়ানকে ঘিরে, শুভ জন্মদিন বাংলাদেশে প্রাণ-বাংলাদেশের জান।