প্রয়োজনীয় সংখ্যক দক্ষ জনবল (টেকনিক্যাল হ্যান্ড) না থাকায় জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু ভুল রয়ে গেছে। এমনটা জানালেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এছাড়াও সময় স্বল্পতার কারণে জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু ভুল-ভ্রান্তি হয়েছে যার অধিকাংশই বানানজনিত ভুল।
তিনি বলেন, '২০০৭-০৮ সালে নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এবং সশস্ত্র বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতায় নাগরিকদের বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করে জাতীয়ভাবে ভোটার ডাটাবেস তৈরি করা হয়।'
আইনমন্ত্রী বলেন, 'বিভিন্ন পর্যায়ে জাতীয় তথ্যভাণ্ডারে পরিলক্ষিত ভুলসমূহের বিষয়ে আইন ও বিধি অনুসারে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হলেও বিভিন্ন কারণে অনেকেই যথাসময়ে এ সুযোগ গ্রহণ করেননি। বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতের ক্ষেত্রে দেশের নাগরিকরা সচেতন হওয়ায় ভুলের পরিমাণ তুলনামূলক কম।'
মন্ত্রী আরও বলেন, 'অনলাইন ব্যবস্থা চালুর ফলে আবেদনকারী ঘরে বসেই এখন তার এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করতে সক্ষম হচ্ছেন এবং আবেদন কোন পর্যায়ে রয়েছে সেটিও ট্র্যাকিং করতে পারছেন।'
এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, '২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতের সব ক্ষেত্রে ভোটারের নিবন্ধন ফরম কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এতে দেখা গেছে, এনআইডি সঠিকভাবেই মুদ্রিত হয়েছে। অন্যদিকে সংশোধনের জন্য পাওয়া আবেদনের অধিকাংশই সংশোধনের চাহিদা অনুযায়ী যুক্তিসঙ্গত নয়।'
মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন কর্মকর্তাদের এ সেবার সাথে সম্পৃক্ত করে একটি অত্যাধুনিক অনলাইন কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে services.nidw.gov.bd।
পাশাপাশি অফলাইন ব্যবস্থাও চালু রয়েছে উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, অনলাইন ব্যবস্থা চালুকরণের ফলে আবেদনকারী ঘরে বসেই তার এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করতে সক্ষম হচ্ছেন। আবেদন কোন পর্যায়ে রয়েছে সেটিও ট্র্যাকিং করতে পারছেন।