বাংলাদেশ, রাজধানী

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন আপনারা: মেয়র আতিক

হ্যাপী মাহমুদ

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ২৭শে জানুয়ারী ২০২২ ০৭:৩৪:৫৫ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

রাজধানীতে খাল-জলাশয় দখলকারীরা যত শক্তিশালীই হোক না কেন উচ্ছেদ অভিযান চলবে। এমন হুঁশিয়ারি দিলেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম।

অবৈধ একটি পাঁচ তারকা হোটেলের নির্মাণাধীন ভবন ভেঙে দিয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এ সময় ঘটনাস্থল থেকেই টেলিফোনে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদারকে মেয়র বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাঁচ তারকা হোটেল ও শপিং কমপ্লেক্সের জন্য জলাশয় বরাদ্দ দিচ্ছেন আপনারা।'  

এসময় মেয়র বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো ধরনের জলাধার ভরাট করা যাবে না। সেখানে কীভাবে বরাদ্দ দিলেন? আপনি কি জানেন না এটা জলাধার? খবর নেন, দ্রুত এই বরাদ্দ বাতিল করেন।’

রেলের মহাপরিচালককে তিনি আরও বলেন, 'আপনি তাদের (বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠান) বলে দেন এখানে আমি করতে দেব না। আমি এটা ভেঙে দিচ্ছি।' পরে তিনি বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনহীন বিশালাকার একটি সাইনবোর্ড ভাঙার নির্দেশ দেন।'

এর আগে মেয়র আতিকুল ইসলাম রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। তিনি মন্ত্রীকে বলেন, কুড়িল বিশ্বরোড উড়ালসড়কের নিচে বিশালাকারের জলাধার আছে। এখানে খিলক্ষেত ও নিকুঞ্জের বৃষ্টির পানি নামে। খোলা জায়গায় শিশু-কিশোররা খেলাধুলা করে। কিন্তু হঠাৎ জলাধার ভরাট করা হচ্ছে। রেলমন্ত্রী এ বিষয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও মেয়র জানান।
 
পরে সাংবাদিকদের মেয়র বলেন, এই জলাধার ভরাট হলে আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতার সমস্যা প্রকট হবে। তা ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩০০ ফুট সড়কের দুই পাশে যেখানে খাল খনন করা হচ্ছে, এর পাশেই জলাধার ভরাট করে হোটেল ও শপিং মল বানানো হলে, সেটা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে।

চলমান জলাধার উদ্ধার এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে, মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ভেঙ্গে দেয়া হলো সেই অবৈধ স্থাপনা। মেয়র হুশিয়ারি দিলেন, দখলকারীরা যতো শক্তিশালীই হোক না কেন, উচ্ছেদ অভিযান ঠেকে থাকবে না। এসময় উত্তরের মেয়র, দখল ঠেকাতে স্থানীয়দের সহযোগিতাও চান। 

এদিকে উচ্ছেদের সময় একটি নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের মালামাল লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কাউন্সিলরের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ সময় লুটপাটের দৃশ্য ধারণ করতে গেলে সংবাদকর্মীদের লাঞ্ছিত করা হয়।

আরও পড়ুন