রাজধানীর টোলারবাগে করোনাভাইরাসে পরপর দুইজনের মৃত্যুর পরও টনক নড়েনি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
কোভিড নাইনটিন সংক্রমণে রাজধানীর দারুস সালাম থানার টোলারবাগে পরপর দুইজনের মৃত্যু হয়। ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য ২৩শে মার্চ দুপুর থেকে অঘোষিত লকডাউন করা হয় টোলারবাগ। অনেকেই মানছেন না সামাজিক দূরত্ব,ঘরে থাকার নির্দেশ। নজরদারির পাশাপাশি চলাচল সীমাবদ্ধ রাখা হলেও কারণে-অকারণে অনেকেই বের হচ্ছেন এলাকা ছেড়ে। ফলে বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি।
দিন দুয়েক নিয়ম মেনে চললেও এখন অনেকের মধ্যেই কেমন যেন গা ছাড়া ভাব। মূল ফটকের ভেতরে-বাইরে যাতায়াত করছেন ইচ্ছেমতো। জবাবদিহিতারও বালাই নেই। কেউ কেউ প্রয়োজনে বের হলেও অনেকেই যখন খুশি বেরিয়ে পড়ছেন।
এলাকায় ঢোকার ফটকে কিছু পুলিশ সদস্যকে দেখা গেলেও, শুক্রবার সকালে তাদের তৎপরতা চোখে পড়েনি। দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, হোম কোয়ারেন্টিন যাতে মানা হয় সেটা তারা দেখছেন।
দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, টোলারবাগে যারা হোম কোয়ারেন্টিন আছেন তারা তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য ভেতরের দোকান থেকেই কেনেন, যদি সেখানে কোন কিছু না পাওয় যায় তাহলে কমিউনিটির অনুমতি নিয়ে নিজের সুরক্ষা নিশ্চত করে তারপরে তারা বের হন।
টোলারবাগে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে না পারলে আশেপাশে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে।