বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ।
বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি দু'শো টাকা ছাড়িয়েছে। রাজধানীর কারওয়ানবাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে পাইকারি দু'শো ২০ টাকা দরে। বার্মিজ ১১০ থেকে ১১৫, মিশর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ১৯০ ও চায়নার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে। আর খুচরা বাজারে আজ পেঁয়াজের দাম ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহেও ছিল ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ছিল ১০৫ থেকে ১১৫ টাকা।
এদিকে, ঢাকার বাইরে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে আড়াইশ টাকায়।
বরিশালে আজ খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আড়াইশ টাকায়। পাইকারী বাজারে ২২০ টাকা করে পেঁয়াজ কিনছেন খুচরা বিক্রেতারা। শহরের পেঁয়াজপট্টি বাজার ঘুরে দেখা যায় আড়ৎদারদের দোকানগুলোর বেশিরভাগই পেঁয়াজ শূণ্য। চট্টগ্রামে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০টাকায়। এছাড়া মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়।
অন্যদিকে, খুলনায় পেঁয়াজের দাম বাড়ায় দিশেহারা ক্রেতা ও বিক্রেতারা। খুলনায় পাইকারী বাজারগুলোতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা দরে। আর এই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ২৭০ টাকা দরে। পেঁয়াজের এমন দাম বাড়ায় ক্রেতারদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রের জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী যোগান না থাকায় দাম কমছে না।
গত সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অস্থির হয়ে উঠে পেঁয়াজের বাজার। ২৯শে সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। বাংলাদেশ আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের ওপরই নির্ভরশীল। ফলে দেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়তে থাকে। তখন দুই দিনের মধ্যে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা ছাড়ায় দেশি পেঁয়াজের দাম। ভারতীয় পেঁয়াজও বিক্রি হতে থাকে ১০০ টাকার কাছাকাছি দরে। অবশ্য বাজার তদারকি ও হুজুগ শেষের পর দাম আবার কিছুটা কমে। তবে গত কয়েক দিন ধরে আবার লাগামহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের দাম।