বাংলাদেশ, জাতীয়, স্বাস্থ্য

'দুই সপ্তাহের মধ্যে ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা'

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:৪৭:৩৯ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া শুরু হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্য বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে আগে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর টিকা নিশ্চিত করার তাগিদ তাদের।

জানুয়ারি থেকে সব মিলিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, মডার্না ও ফাইজারের ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৯৬ হাজার ৬০৭ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ।

রবিবার পর্যন্ত ৩ কোটি ৭৩ লাখ ১৫ হাজার ০০৭ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। এদিন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৪ কোটি ২৫ লাখ ৯৫ হাজার ১৫০ জন।  প্রায় ৫২ লাখ রেজিস্ট্রেশনভুক্ত টিকার অপেক্ষায়।

এ অবস্থায় শনিবার মানিকগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানান, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া শুরু হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন,'যারা ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের তাদেরকেও টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সপ্তাহ দুয়ের মধ্যে আমরা কাজ শুরু করতে পারবো।'

এজন্য কোভিড নাইন্টিন সংক্রান্ত কারিগরী পরামর্শক কমিটি ও ন্যাশনাল ইমুনাইজেশন টেকনিক্যাল একপার্ট প্রুপ বা নাইটেগ এর পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। ))
কিন্তু  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফাইজারের টিকা ১৮ বছরের কম বয়সীদের ব্যবহারের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন রয়েছে।  যা বাংলাদেশে পর্যাপ্ত মজুদ নেই।  এবং যে তাপমাত্রায় এ টিকা সংরক্ষণ করতে হয় সেই ব্যবস্থাও দু’একটি বিভাগীয় শহর ছাড়া কোথাও নেই।

ন্যাশনাল ইমুনাইজেশন টেকনিক্যাল একপার্ট প্রুপ সদস্য ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন,'প্রিপারেশনের ব্যাপর আছে। প্রথম হলো এর সংখ্যা নির্ধারণ করা। কতো সংখ্যায় এটা এসেছে। এদের রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপরে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে হয়তো হবে। সেখানে একটা উইন্ডো তো খুলতে হবে তাদের জন্য।'

কোভিড নাইন্টিন সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন,'টিকার জন্য আমাদের ক্যাপাসিটি ডেভেলপ করতে সময় লাগবে। এটা তো নেই সারা দেশে। কাজেই এটা বাস্তব না। আমাদের উচিত ১৮ বছরের ওপরে যে জনগোষ্ঠী আছে তাদের টিকাটা দ্রুত শেষ করা। তারপর ১৭ থেকে ২ বছর বয়সীদের দিকে হাত দেয়া।'

এধরনের সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের সমন্বয়হীনতার বহিপ্রকাশ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন