একটু একটু করে খুলে যাচ্ছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলো। ধীরে ধীরে গতি ফিরছে পর্যটন ব্যবসায়। আজ থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বালি রাজ্য।
ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম মালয়েশিয়াসহ জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলো পর্যটকদের জন্য খুলে যাচ্ছে।
করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় অন্তত ৬০ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেছিল। মহামারির কারণে দেশটিতে পর্যটন খাত একেবারেই তলানিতে পৌঁছেছে। ১৮ মাস পর বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটকদের জন্য দুয়ার খুলে দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব ইন্দোনেশিয়া।
দেশটির অর্থনীতির চাকা সচল করতে বালি ও রিয়াউ দ্বীপপুঞ্জকে দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে বলে জানান দেশটির কর্তৃপক্ষ। দেশটির ৮২ শতাংশ মানুষকে পূর্ণ ডোজ টিকার সম্পন্ন করার পর দেশটির এ সিদ্ধান্ত।
চীন ভারত, ফ্রান্সসহ ১৯ দেশ থেকে পর্যটকদের বালি ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ। তালিকায় নেই যুক্তরাজ্য তবে ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের পাঁচ দিন থাকত হবে হোটেল কোয়ারেন্টিনে।
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ ২ বছর মালয়েশিয়ার সব পর্যটন স্পট সম্পূর্ণভাবে বন্ধ। অর্থনীতির চাকা সচল করতে তাই ৯০ শতাংশ মানুষরে টিকা সম্পন্ন করার পর ডিসেম্বরে সবকিছু খুলে দেয়ার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ।
পহেলা নভেম্বর থেকে থাইল্যান্ডে যেতে পারবেন পর্যটকরা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, চীনসহ বিশ্বের অন্তত ১০টি দেশের পূর্ণ ডোজ টিকা নেয়া নাগরিকদের ভ্রমণে কোয়ারেন্টিন শর্ত তুলে নেয়া হয়েছে। ভিয়েতনাম আগামী মাসে তার ফু কুওক দ্বীপে বিদেশিদের স্বাগত জানানোর পরিকল্পনা করেছে।