জেলার সংবাদ, সংবাদের ভিডিও

নদনদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি; পানিবন্দি বহু মানুষ

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ৩১শে আগস্ট ২০২১ ১১:২৭:০৮ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

বিভিন্ন নদনদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে অনেক এলাকার নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দী হাজারো মানুষ।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বর্ষনে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। একই সাথে বাড়ছে জেলার অভ্যান্তরিন নদ-নদীর পানিও। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। যমুনা নদীর চরাঞ্চল, নিম্নাঞ্চল ও অভ্যান্তরিন নদী তিরবর্তি এলাকার বসত-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমি প্লাবিত হওয়ায় বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে পাচটি উপজেলার ২৫ টি ইউনিয়নের অন্তত ৭০ হাজার মানুষ।

গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে মঙ্গলবার সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাধ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা ও অভ্যান্তরিন চলনবিল, ইছামতি, করতোয়া, ফুলঝোড় ও বড়াল নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার চরাঞ্চল, নিম্নাঞ্চল  ও অভ্যান্তরিন নদী তিরবতী নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যা প্লাবিত এলাকায় বসতবাড়ি, রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমিতে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়ছে জনসাধারন। অনেকেই বসতবাড়ি রেখে অন্যত্র আশ্রয় গ্রহন করছে।

টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গেল ২৪ ঘন্টায় ৬ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে আজ বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি। ফলে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, নাগারপুর, ভূঞাপুর ও বাসাইল উপজেলার কয়েক শতাধিক গ্রামসহ যমুনার অর্ধশতাধিক চরের লক্ষাধিক মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ভাঙনের ফলে পাঁচটি উপজেলার যমুনা ও ধলেশ্বরী তীরবর্তী দুই শতাধিক বসতবাড়ি, ফসলী জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে ভাঙন রোধে কোথাও কোথাও অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ চলছে। বন্যা শেষে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির নিরুপন করা যাবে। জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি জানান, বন্যাকবলিতদের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাওয়া গেছে। গতকাল থেকে তালিকা করে তা বিতরণের কাজ চলমান রয়েছে। 

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বেড়ে বন্যার আরও অবনতি হয়েছে। জেলার চর ও নদী তীরবর্তী নিচু এলাকায় অন্তত ৬০ হাজার মানুষ পনিবন্দী। গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ঘাঘট নাদীর পানি বেড়ে চারটি উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন ডুবে গেছে।

ফরিদপুরে পদ্মার পানি বেড়ে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে। প্রবল স্রোতে বিভিন্ন এলাকায় চলছে নদীভাঙন।  ভাঙন আতঙ্কে নদী তীরের মানুষ সরিয়ে নিচ্ছে ঘরবাড়ি। জামালপুরে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে চরাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন