নরসিংদীর মনোহরদীতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কথিত প্রেমিক ও তার চার সহযোগীর বিরুদ্ধে।
গণধর্ষণের ঘটনায় বুধবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে মনোহরদী থানায় নির্যাতিত ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদি হয়ে প্রেমিক শাওন মিয়া (২৫) সহ তার চার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্যাতিত ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত শাওন মিয়া মনোহরদী উপজেলার চালাকচর ইউনিয়নের চেঙ্গাইন গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। অন্য আসামীরা হলো মোঃ আশিক (২৩), মোঃ মোবারক হোসেন (২২), মোঃ সুমন (২২) ও মোবারক হোসেন (২২)।
মনোহরদী থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, ১০ম শ্রেণির ওই স্কুল ছাত্রীর সাথে অভিযুক্ত শাওন মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আড়াইমাস আগে ওই ছাত্রীকে জেলা শহরে নিয়ে দুটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে দুজনের বিয়ে হয়ে গেছে বলে জানিয়ে বিষয়টি তিনমাস গোপন রাখতে বলে প্রেমিক শাওন। সম্প্রতি ওই ছাত্রী বিয়ের কাগজপত্র চাইলে তালবাহানা করতে থাকে।
গত ৩রা ডিসেম্বর হাতিরদিয়ার একটি পার্কে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় শাওন মিয়া। পার্কে সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যার পর তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় শাওন ও তার তিন সহযোগী। সেখানে স্কুলছাত্রীকে টানা ৪ দিন আটকে রেখে কথিত প্রেমিক শাওন ও তার সহযোগীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে গত মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে নির্যাতিত ছাত্রীকে মনোহরদীর চালাক বাজারের পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নির্যাতনের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।