যার হাত ধরে রাজনীতি শুরু সেই আলী আহমেদ চুনকার কন্যা সেলিনা হায়াত আইভীর সঙ্গেই লড়ছেন তৈমুর আলম খন্দকার।
বিএনপি আমলে বিআরটিসি'র চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি, ছিলো নানা দুর্নীতির অভিযোগ। দুদকের মামলা মাথায় নিয়ে ঘুরেছেন আদালতের বারান্দাতেও। শুধু তাই নয় জাতীয় অন্ধ ও বধির সংস্থার সভাপতির দায়িত্ব পালনের সময়ও তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। এ নিয়েও দুদক তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। সবশেষ দু বছর আগে বধির সংস্থার নির্বাচনে হারেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
নারায়ণগঞ্জের প্রথম নির্বাচিত পৌর চেয়ারম্যান ছিলেন আলী আহম্মদ চুনকা। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিও ছিলেন তিনি। প্রয়াত এ নেতার কর্মী হয়ে রাজনীতিতে আসেন তৈমুর আলম খন্দকার। পরে বিএনপির রাজনীতিতে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করেন।
বিএনপি-জামাত জোটের আমলে বিআরটিসি চেয়ারম্যান করা হয় তৈমুর আলম খন্দকারকে। সিএনজিচালিত ফোর স্ট্রোক বেবিট্যাক্সি বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধান করে মামলা ও পরে অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। তবে শেষ পর্যন্ত এ মামলায় দায়মুক্তি পান তিনি।
জাতীয় বধির সংস্থার সভাপতির দায়িত্ব পালনের সময়ও প্রতিবন্ধীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে তৈমুরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তাকে দুদকের বারান্দায় হাজির হতে হয়। আর ২০২০ সালে সংস্থার সভাপতি পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন তৈমুর আলম খন্দকার।
২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে বিএনপির সমর্থনে মেয়র পদে দাঁড়ান তৈমুর। ভোটের আট ঘণ্টা আগে দলের হাইকমাণ্ডের সিদ্ধান্তে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।
এক দশক পর আবার সিটি নির্বাচনের মাঠে তৈমুর আলম খন্দকার। এবারও তার শক্ত প্রতিপক্ষ সবশেষ মেয়রের দায়িত্বে থাকা সেলিনা হায়াত আইভী। নির্বাচনের প্রচারণা যখন তুঙ্গে তখন হঠাৎ দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য পদ এবং জেলা বিএনপির আহবায়কের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়। তবে এতে অখুশি দেখাননি তৈমুর।
২০১১ সালে দলের হাই কমান্ডের নির্দেশে নির্বাচন থেকে সরে গিয়েছিলেন আর এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দলীয় পদ হারালেন। এ অবস্থায় আইভীর সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে কতদূর যাবেন সেটাই দেখার অপেক্ষায় নারায়ণগঞ্জের নাগরিকরা।