নারায়ণগঞ্জে ভোটকেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন। নেই বড় কোন অভিযোগ।
১২০ বছরের বৃদ্ধা থেকে ১৮ বছরের তরুণ। সব বয়সের ভোটারের উপস্থিতিতে এখন উৎসবের নগর নারায়ণগঞ্জ। পাশাপাশি এই নির্বাচনে নতুন ভোটার প্রায় ৪২ হাজার। তাদের ভোট প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভোটারদের উপস্থিতিও নজরকাড়া। কিছু অভিযোগ থাকলেও, বেশিরভাগ ভোটার ভোট দিয়েছেন নির্বিঘ্নে।
ভোটের উত্তাপে শীতের কুয়াশা তখন সবে মুখ লুকাতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রে হাজির হামেতুন নেছা। বয়স ১১৫ ছুঁইছুঁই । বয়সের ভারে নুইয়ে পড়লেও ভোট উৎসবে অংশ নিয়েছেন তারুণ্যের আবেগে। ভোট দিয়েছেন তার চেয়েও বয়সে ৫ বছরের বড় আরেক ভোটার।
ভোট দেয়ার সমান আগ্রহ ছিল নতুন ভোটারদের মধ্যেও।
তারা বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে সবকিছু ঠিকভাবেই চলছে। কোন ধরনের কোন সমস্যায় পড়েনি। আমরা আমাদের পছন্দমত ভোট দিতে পারছি। ভালোই লাগছে, মনে হচ্ছে কোন ভেজাল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
রবিবার সকাল ৮টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে ভোট শুরুর পর থেকেই এমন উৎসবের আমেজ ছিল সব বয়সের ভোটারদের মাঝে। কেন্দ্রগুলোতে তাদের সরব উপস্থিতি সে বার্তাই দিয়েছে। নারী ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
ভোটাররা বলেন, আমরা খুব আনন্দ নিয়েই ভোট দিচ্ছি। কোন ধরনের কোন ঝামেলা হচ্ছে না, খুব সুন্দর পরিবেশ। এর আগে এমন শান্তিপূর্ন নির্বাচন হয়নি।
তবে, কিছু অভিযোগও ছিল কারো কারো। অনেকে অভিযোগ করে বলেন, সরকার আমাদেরকে স্মার্ট কার্ড করে দিয়েছে। এটা দেখিয়েই ভোট দেয়া যায়। কিন্তু আমাদেরকে বলছে স্মার্ট কার্ডও লাগবে কাগজও লাগবে। তাহলে স্মার্ট কার্ড দিয়ে কি লাভ হলো। আমাদেরকে এক রুম থেকে আরেক রুমে পাঠায়।