লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হলেও ফলন বিপর্যয়ে পড়েছেন নড়াইলের পাটচাষিরা।
এজন্য দায়ী করা হচ্ছে নিম্নমানের বীজ এবং বিরূপ আবহাওয়াকে। ফলে উৎপাদন ও দাম নিয়ে শঙ্কায় জেলার চাষিরা। তবে, ফলন ভালো হওয়ায় দাম ভালো পাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
নড়াইলের সদর, কালিয়া ও লোহাগড়া এই তিন উপজেলায় এ বছর পাটের আবাদ হয়েছে ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে। কিন্তু নিম্নমানের বীজের কারণে পাট গাছ এক-দেড় হাত লম্বা হতেই আসে ফুল। সেই সঙ্গে মৌসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টি এবং পরে অতিবৃষ্টির কারণে ব্যাহত হয় গাছের বৃদ্ধি। কোথাও কোথাও গাছ মরে যাওয়ায় ফলন নেমে আসে অর্ধেকে।
এদিকে, বর্তমানে পাটের মণপ্রতি বাজারমূল্য ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকা। যা উৎপাদন খরচের তুলনায়ও কম। ফলে পাটের দাম পুনঃনির্ধারণের দাবি চাষিদের। অন্যদিকে, পাটকলগুলোতে পর্যাপ্ত চাহিদা না থাকায় ক্ষতির আশঙ্কায় পাইকাররাও।
এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাটের আবাদ হওয়ায় চাষিরা দাম ভালো পাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।