নির্ধারিত প্রক্রিয়া মেনেই পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'সেকেন্ড ন্যাশনাল কনফারেন্স অন এসডিজি ইমপ্লিমেন্টেশন রিভিউ' অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পি কে হালদারকে নিয়ম অনুযায়ী ফিরিয়ে আনা হবে। তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারের সম্পূর্ণ সদিচ্ছা আছে। তবে তার ব্যাপারে এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারত থেকে কিছু জানানো হয়নি। এ ধরনের আসামীকে ফেরানোর কিছু নির্ধারিত প্রক্রিয়া আছে সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই পি কে হালদারকে দেশে ফেরত আনা হবে।
এর আগে, কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা লোপাট করে পালিয়ে থাকা পি কে হালদারকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার করে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। দিনভর কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার অন্তত ১০টি জায়গায় অভিযান চালায় দেশটির তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-ইডি।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, বাংলাদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাঠিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় পিকে হালদারের জমি-বাড়ি কেনার খোঁজ পেয়েছেন তারা।
প্রাথমিক তথ্যে ভারতে পিকে হালদারের ২০ থেকে ২২টি বাড়ি রয়েছে। এসব সম্পদ গড়ে তুলতে তাকে সহযোগিতা করেছে তার আয়কর আইনজীবী ভারতের সুকুমার মৃধা। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (১৪ই মে) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশের হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার মূলহোতা পি কে হালদারকে ভারতের একটি আদালতে তোলা হয়। পরে আদালতের বিচারকরা তাকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠিয়ে দেন।
পি কে হালদার এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই দুই প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করার পর তিনি কানাডায় পালিয়ে যান বলে ধারণা করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের ২৩শে অক্টোবর বেনাপোল বন্দর দিয়ে পালিয়ে যান পিকে হালদার।