নীতি নির্ধারকরা শিক্ষা খাতের গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী।
বুধবার (৯ জুন) ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) এর ডিপার্টমেন্ট অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের উদ্যোগে প্রস্তাবিত বাজেট এর উপর 'পোস্ট বাজেট (২০২১-২২) ডিসকাশন: এডুকেশন সেক্টর ইন ফোকাস' শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, 'নীতি নির্ধারকরা শিক্ষা খাতের গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। কারণ, শিক্ষা খাতের গুরুত্ব জীবিকা, স্বাস্থ্য বা অন্যান্য খাতের মতো তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশিত হয়না। তিনি আরও বলেন, শিক্ষা খাতে আর্থিক গুরুত্ব আরও জোরালো করতে এবং এর প্রভাব প্রদর্শন করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রমাণ ভিত্তিক গবেষণা নিয়ে আসতে হবে।'
অনুষ্ঠানে আইইউবি'র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, 'শিক্ষা খাত থেকে বৈষম্যের বিষয়টি সমাধানের জন্য যথাযথ নীতিমালা এবং বাজেট বরাদ্ধের প্রয়োজন।'
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বৃত্তি, টিউশন ফি হ্রাস, অনলাইন ক্লাসের জন্য সহায়তা প্রদান এবং ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর প্রস্তাবিত শুল্ক প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক তৈয়েবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আবু ইউসুফ প্রমুখ। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন ডিপার্টমেন্ট অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) শারমিন আহমেদ।