ভ্রমণ

পর্যটনস্পটে পর্যটকদের ঢল

শামীম আহমেদ

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ১৭ই ডিসেম্বর ২০২১ ০২:৪৮:২২ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

শুষ্ক মৌসুম, অনুকূল আবহাওযা, বিজয় দিবসসহ দুইদিন সপ্তাহিক ছুটি। সব মিলিয়ে এমনই পরিবেশে পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ঢল পড়েছে।

শুক্রবার ভোরে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের কেন্দ্রস্থল শাপলা চত্ত্বরে ঢাকা থেকে আসা বাস পৌঁছাতে শুরু করে। কোলাহল বেড়েছে সাজেক যাওয়ার কাউন্টারে। পর্যটকরা পিকআপ, চাদেঁর গাড়ি ভাড়া করছে সাজেকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে।

অপরদিকে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, পার্বত্য জেলা পরিষদ পার্কে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে।

খাগড়াছড়ি জেলা সদরের আলুটিলা ও পার্বত্য জেলা পরিষদ পার্কে ঘুরে পর্যটকরা জানান, পাহাড়ের সৌন্দর্য তাদের মুগ্ধ করেছে। তারা খাগড়াছড়িতে মুক্ত বাতাস নিতে পারছেন। করোনার দীর্ঘ অচলাবস্থার পর ঘুরতে এসে তারা স্বস্তির কথা জানিয়েছেন।

এদিকে, টানা কয়েকদিনের ছুটিতে সিলেটের পর্যটন স্পটগুলোতে নেমেছে মানুষের ঢল। চা বাগান, জাফলং, রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট, সাদাপাথর, বিছানাকান্দির মতো স্পটগুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা বেশি।

পর্যটকরা জানান, এসব স্পটের যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের তুলনায় ভালো হলেও বিশ্রাম, খাওয়া দাওয়া ও পর্যাপ্ত চেঞ্জরুমের ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

অন্যদিকে, টানা তিনদিনের ছুটিতে পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে দেড় লাখেরও বেশি পর্যটকের সমাগম হয়েছে। শুধু সমুদ্র সৈকত নয়, টানা ছুটিতে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আনাগোনায় মেতে উঠেছে হিমছড়ি, ইনানী সৈকত, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, রামুর বৌদ্ধ মন্দির, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, ডুলাহাজারা সাফারি পার্কসহ কক্সবাজারের বিনোদন কেন্দ্রগুলো।

বিপুল সংখ্যক পর্যটক সমাগম ঘটায় কক্সবাজারের সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেলগুলোর রুম শতভাগ বুকিং হয়েছে। এতে দারুন খুশি হোটেল-মোটেল ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, আশানুরূপ পর্যটক আসায় করোনাকালীন ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারবেন। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা খুশি হলেও আরো পর্যটক আসলে ভোগান্তির সৃষ্টি হবে জানিয়ে ভ্রমণ ইচ্ছুকদের খোঁজ নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আসলেও এর হুমকি এখনো রয়েই গেছে। করোনার কারণে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তা এখনও তুলে নেয়া হয়নি। সর্বত্রই লেখা রয়েছে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’। অথচ দেখা গেছে অধিকাংশ পর্যটকের মুখে মাস্ক নেই।

আরও পড়ুন