জাতীয়, জেলার সংবাদ, ভ্রমণ

পর্যটনে পাল্টেছে সাজেকের অর্থনৈতিক অবস্থা

Kamrul Islam Rubel

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ২৯শে নভেম্বর ২০১৯ ০১:১৩:২৯ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

আধুনিক হোটেল-মোটেল গড়ে না উঠলেও, সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বিপুল পর্যটক আসছেন পাহাড়ে।

বিস্তৃত বনাঞ্চল, ঝরনা, পাহাড়ি ঝিরি, আর বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ নিয়েই বৈচিত্র্যময় পার্বত্য চট্টগ্রাম। পর্যটনের এক অপার সম্ভাবনা। কিন্তু নানা বিধিনিষেধে আটকে আছে বেসরকারি বিনিয়োগ।  সেসঙ্গে রয়েছে নিরাপত্তাহীনতার অজুহাত।  শান্তি চুক্তির দুই দশকে পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটন নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন রাজীব ঘোষ।

মুক্ত বাতাস, মেঘ,  সবুজ পাহাড়, ঝর্না, কী নেই পার্বত্য তিন জেলায়। উঁচু-নিচু পাহাড়, পাহাড়ের বুক চিড়ে ঝর্ণা, নয়নাভিরাম সবুজ গাছপালা, হাত বাড়ালেই যেন ছোঁয়া যায় মেঘ,  আকাশের বিশালতা যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে। গত কয়েক বছর ধরে পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষনে পরিণত হয়েছে সাজেক। অবস্থান রাঙামাটিতে হলেও যেতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে। দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়ক। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাস্তা তৈরি করেছেন।

পর্যটক আসছে, ব্যবসার বেড়েছে, পুরো চিত্র পাল্টে গেছে সাজেকের। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান প্রতি সপ্তাহে কয়েক কোটি টাকার ব্যবসা হচ্ছে। পাহাড়ি বাঙালি নানা বিধি নিষেধের কারণে ব্যবসার প্রসার সেভাবে ঘটছে না। বেসরকারি বিনিয়োগও হচ্ছে না সেভাবে।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক জানান, পাহাড়ের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি সঙ্গে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের পরিচিতি করানোর জন্য মুক্তমঞ্চ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

পরিকল্পনার বিষয়ে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, চাকমাদের লোকগীতিকে কেন্দ্র করে গীতিনাট্য নৃত্যের প্রযোজনার কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। কাজ শেষে আলুটিলা অথবা শহরের কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানে এক ঘন্টার এ শো প্রদর্শন করা হবে। এই শো'র মাধ্যেম দর্শণার্থীরা পাহাড়ি এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হবে।'

খাগড়াছড়ি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর দাবি, পর্যটনের উন্নয়নে কাজ করছেন তারা। এছাড়া, ইতোমধ্যেই আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র থেকে জেলা প্রশাসন পার্ক পর্যন্ত একটা ক্যাবল কার স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান কংজরী চৌধুরী।

এদিকে, সাজেক ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান।

নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রতি বছর বিপুল পর্যটক আসছেন পাহাড়ে। তবে, আধুনিক হোটেল-মোটেল গড়ে উঠেনি এখনো। এছাড়া পাহাড়ে দুর্গম এলাকাগুলোর প্রাকৃতিক ঝর্ণা বা ঝিরি এলাকায় নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টিও রয়েছে।

আরও পড়ুন