অসময়ে যমুনা, ধলেশ্বরী, লৌহজংসহ বিভিন্ন নদনদীর পানি বাড়ায় টাঙ্গাইলে প্লাবিত হয়েছে অনেক নিম্নাঞ্চল। এতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে জমির পাকা ধান।
কৃষিশ্রমিকের সংকটে ধান ঘরে তুলতে না পেরে ক্ষতির মুখে কৃষকরা। তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হানার পর এর প্রভাবে টাঙ্গাইলে নদনদীর পানি বেড়েছে। সেসাথে টানা বৃষ্টিতে জেলার মির্জাপুর, বাসাইল ও সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েকশ' হেক্টর জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। কিন্তু করোনার কারণে এসব জমির ধান কাটার জন্য পাওয়া যাচ্ছে না কৃষিশ্রমিক।
কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগ সময়মতো ব্যবস্থা নিলে ধান ঘরে তুলতে পারতেন তারা। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে
মির্জাপুরউপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মালেক মুস্তাকিম।
অন্য এলাকা থেকে শ্রমিক এনে ও হারভেস্টার মেশিন দিয়ে দ্রুত ধান কাটার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানালেন টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন।
জেলায় এ বছর বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্রা রয়েছে ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫৬ মেট্রিক টন। এ পর্যন্ত ৭৬ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে।