অপরাধ, রাজধানী, বিশেষ প্রতিবেদন

পারিবারিক কলহের জেরেই মা-মেয়ে হত্যা

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ২৬শে জুলাই ২০২১ ০৮:২৯:০৭ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

দারিদ্রের অসহায়ত্ব থেকে পারিবারিক কলহের জেরেই কামরাঙ্গীরচরে মা-মেয়ের হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বাবা কালু চন্দ্র এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে এলাকাবাসী বলছে, কালুচন্দ্র দিনমজুর হলেও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ছিল।

শনিবার ভোররাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে ঝুমা রাণি দেখতে পান, তার বাবা কালু চন্দ্র পলিথিন দিয়ে তার ছোটবোনের মুখ চেপে রেখেছে। জিজ্ঞেস করলে অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে পানি নিয়ে আসতে বলে। পানি নিয়ে ফিরে দেখেন তার বোন অচেতন, মাকে ডাক দিয়েও পাননি সাড়া। এ সময় কীটনাশক খেয়ে অচেতন হয়ে পড়েন কালুচন্দ্রও।

 নিহতের মেয়ে ঝুমা রাণি দাস বলেন, আমার বোনকে আমার বাবা যখন চেপে ধরছিল তখন সে ছটফট করছিল। আমি যখন তাকে জিজ্ঞেস করেছি তার মুখ কেন চেপে ধরেছে তখন আমাকে বলেছে সে বমি করেছে তাই চেপে ধরেছি।

খবর পেয়ে শনিবার সকালে কামরাঙ্গীরচরের এই বাসা থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাবা কালু চন্দ্র ও বড় মেয়ে ঝুমা রাণিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মেয়েকে ছেড়ে দিলেও কালু চন্দ্রকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ ।

ডিএমপি লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন মোল্লা বলেন, মেয়ের বক্তব্য অনুযায়ি আসামি হিসেবে একজনের নামই আসছে। পাশাপাশি বাদীর এজাহারেও একজনের নামই এসেছে। তদন্ত করছি, যদি অন্যকিছু আসে তাহলে সেটা তখন দেখা যাবে।

পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় মামলা করেছেন নিহত ফুলবাসি রাণির বোন বিশখাবাসি। তবে মামলা না করার দাবি করেছেন বিশখাবাসি।

এদিকে দারিদ্রের অসহায়ত্ব থেকে পারিবারিক কলহের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।

তবে এলাকাবাসী বলছে, দিনমজুর হলেও কালুচন্দ্র আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। তার পরিবারে আগে কোন কলহের কথাও কখনো শোনেননি তারা।

আরও পড়ুন