বাংলাদেশ, রাজনীতি

পুরোপুরি শয্যাশায়ী বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া

হ্যাপী মাহমুদ

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২১ ০১:০৪:৫৫ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

তিন বছর ধরে শয্যাশায়ী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। অসুখের কাছে পরাজিত এই নেতার সময় কাটে বিছানায় শুয়ে বসে। 

তবে, এই গন্ডিও ক্রমেই আরো ছোট হয়ে আসছে। তাই দলের কোন কর্মসূচি বা আলোচনাতেও নেই তিনি। আগ্রহীও নন। তবে বিএনপির জন্য মন কাঁদে এই রাজনীতিকের।

একটা সময় দলের সভা সমাবেশে ছিলেন অপরিহার্য অংশ। সরব ছিলেন আইনাঙ্গনেও। তবে, ২০১৮ সালে কারাগারে যাবার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী পর্ষদের এই সদস্য। ছিলেন লাইফ সাপোর্টেও। সেখান থেকে ফিরলেও ফেরা হয়নি রাজনীতিতে। যেন সবার ভীড়ে হারিয়ে গেছেন অগোচরেই।  

স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, 'হাঁটতে পারিনা, চলতে পারি না, আমি দাঁড়াতেই পারিনা আসলে। কথা বলতে গেলেও সমস্যা হয়। কথা জাড়ায়া যায় বেশি বরতে পারি না। আমার স্ত্রী আমাকে অনেক সাহায্য করে, তার প্রতি শ্রদ্ধা।'

নেই কোন অভিমান, কিংবা কারো প্রতি কোন অভিযোগও। কিন্তু নিষ্প্রাণ জোড়াচোখ যেন বলছে অন্যকিছু। অসুস্থতা শারীরিক ক্ষমতা কেড়ে নিলেও বিএনপিকে নিয়ে এখনো স্বপ্ন দেখেন এই রাজনীতিক।

ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, 'টেলিফোনে কথাবার্তা হয় সবার সাথেই টুকটাক। বেশি কথা তো বলতে পারি না ক্লান্ত হয়ে যাই। পলিটিকেল কথাবার্তা বলঅর সুযোগ আমার নেই। আমি সবার কাছে দোয়া চাই, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।'

ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার স্ত্রী অধ্যাপক শাহিদা রফিক বলেন, 'পা দুটোই গেছে, কানে শোনে না। আমি মানুষের কাছে কিছু আশা করি না। আমার সব আশা আল্লাহর কাছে। পরকালে যেন উনাকে অনেক উচ্চ মর্যাদা দেয়া হয়। কারো প্রতি আমার কোন ক্ষোভ নাই। তবে ফেলে আসা রাজনৈতিক জীবন ভুলে থাকতে চান তিনি।'

১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করলে তাতে যোগ দেন ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। ১৯৯১ সালে জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলে গণপূর্ত মন্ত্রী হন তিনি। পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হয় তাকে।

আরও পড়ুন