করোনা মহামারি শুরুর পর থেকেই ফরাসি অপেরা শিল্পী টেনর স্টেফানে সেনেশালের জীবনের ছন্দ অনেকটাই এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলো। কারণটা আর কিছু নয়, যা করতে সবচেয়ে ভালোবাসেন, সেই অপেরা মঞ্চে গান গাওয়াটাই হচ্ছিলো না। বাধ্য হয়ে প্রতিবেশীদেরকেই শোনাতে শুরু করলেন।
৪৪ বছরের টেনর একাই থাকেন। করোনায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মোটামুটি বেকারই বলা যায়। জমানো যা অর্থ ছিলো তাও প্রায় শেষ। করোনায় সরকারি সহায়তাও পাননি। বাধ্য হয়ে ছোটখাট নানা ধরনের কাজ করেই জীবন ধারণ করছেন এই শিল্পী। কিন্তু বিসর্জন দেননি শিল্পী সত্তাকে।
অপেরা শিল্পী টেনর স্টেফানে সেনেশাল বলেন, 'মহামারি প্রথম ভয়াবহ ধাক্কায় সব নীরব হয়ে গিয়েছিলো। প্রথম দিন গাইলাম, সবাই বেশ মজা পেলো। যেন প্রাণ ফিরে এলো আমাদের এলাকায়। নিজের ঘরের জানালায় আর বারান্দায় বসেই আমাকে শুনলো। আমিও খুশি হলাম, যাক কিছুটা হলেও স্বস্তি আনতে পেরেছি সবার মাঝে। এভাবেই শুরু। প্রথম থেকেই হাসি, আনন্দ আর মুক্তির গান গাই।'
অপেরা বন্ধ বহুদিন। কবে আবারো কাজ পাবেন তাও জানেন না। তবে আপাতত গাইতে পেরেই খুশি টেনর স্টেফানে সেনেশাল। তিনি আরো জানান, অপেরায় আমরা শুধু গানই গাই না। দর্শকের সঙ্গে আত্মিক যোগাযোগও স্থাপন করি। গাইতে গেলেই কিছু একটা হয় আমার মধ্যে বলে বোঝাতে পারবো না। এই আনন্দ আর অনুভূতিটাই সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেই।'
পরিস্থিতি কিছু স্বাভাবিক হয়ে আসায় এখন সপ্তাহে দুইদিন ঘরে বসেই গাইছেন। তার আশা সুস্থ স্বাভাবিক পৃথিবীতে একদিন ঠিকই দাঁড়াবেন আলোর অপেরায়।