আন্তর্জাতিক, ইউরোপ

প্রিন্স হ্যারির প্রস্থান

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ২১শে জানুয়ারী ২০২০ ০২:২৯:২১ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার ঘোষণার পর কানাডায় স্ত্রী-সন্তানের কাছে চলে গেছেন প্রিন্স হ্যারি। তার এই যাওয়াকে ‘প্রতীকী প্রস্থান’ বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করা থেকে প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগানের সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তে ধাক্কা খায়েছে রাজপরিবার।

মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপির জানায়, সোমবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্য-আফ্রিকা বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগদান শেষে প্রিন্স হ্যারি কানাডার ভ্যানকুভারের উদ্দেশে রওনা হন। লন্ডনের সম্মেলনটি রাজপরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে তার শেষ আনুষ্ঠানিক রাজকীয় দায়িত্ব বলে মনে করা হচ্ছে। বাকিংহাম প্রাসাদ হ্যারি-মেগানের রাজকীয় উপাধি সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণার দুদিন পর প্রিন্স হ্যারি যুক্তরাজ্য ছেড়ে কানাডায় চলে গেলেন।

লন্ডনের সম্মেলনে যোগ দিলেও বাকিংহাম প্রাসাদে আফ্রিকার নেতাদের সম্মানে তার ভাই উইলিয়ামের দেয়া নৈশভোজে যোগ দেননি হ্যারি। এর আগে তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে ২০ মিনিট অনানুষ্ঠানিক ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ করেন।

হ্যারি-মেগান দম্পতি গত ৮ই জানুয়ারি আকস্মিক এক ঘোষণায় রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে স্বনির্ভর জীবনযাপনে যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি কানাডায় বসবাসের কথা জানান। তাদের ওই ঘোষণায় ব্রিটিশ রাজপরিবারে তোলপাড় শুরু হয়। তাদের ওই সিদ্ধান্ত থেকে ফেরাতে ১৩ই জানুয়ারি ইংল্যান্ডের নরফক কাউন্টির স্যান্ড্রিংহ্যাম প্রাসাদে হ্যারির সঙ্গে বৈঠক করেন রানি এলিজাবেথ ও তার উত্তরাধিকারীরা। বৈঠকে রানি হ্যারি ও মেগানের নতুন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তার ‘পূর্ণ সমর্থন’ থাকার কথা জানান। তবে রানি জানান, তিনি চাইছেন হ্যারি-মেগান রাজপরিবারের সদস্য হিসেবেই পুরো সময় দায়িত্ব পালন করুন। এরপরও হ্যারি-মেগান তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসায় গত শনিবার বাকিংহাম প্রাসাদ এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাজ্যের ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল তাদের রাজকীয় উপাধি আর ব্যবহার করতে পারবেন না। চলতি বছরের বসন্ত থেকেই এটি কার্যকর হবে।

পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণার পর গত রবিবার সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো এ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেন প্রিন্স হ্যারি। সেন্টেবালে নামের ওই দাতব্য সংস্থার আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের এইচআইভি-আক্রান্ত শিশুদের জন্য তহবিল সংগ্রহবিষয়ক এক অনুষ্ঠানে তিনি পদ ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘সত্যিই আর কোনো উপায় ছিল না।’

তিনি পরিস্কার জানিয়ে দেন, জ্যেষ্ঠ সদস্যের পদ ছাড়লেও তিনি ও মেগান দূরে সরে যাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য আমার ঘর এবং এমন একটি স্থান, যা আমি ভালোবাসি, এটা কখনো পরিবর্তন হবে না।’ হ্যারি বলেন, তিনি এবং তার স্ত্রী মেগান সরকারি তহবিলের অর্থ ছাড়াই রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের হয়ে তাদের কাজ অব্যাহত রাখার আশা করেছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটি সম্ভব হচ্ছে না।

আরও পড়ুন