ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর প্রভাবে বিভিন্ন জেলায় ফসলের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হয়েছে হেক্টরের পর হেক্টর জমির শীতের সবজি ও আমন ধান।
পানিতে তলিয়ে রয়েছে ক্ষেতের ফসল। কিভাবে এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন এই ভেবে এখন দিশেহারা কৃষকেরা। ভোলার ৫৪ হাজার ৮০৪ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর প্রায় পুরোটাই আমন ধান। নষ্ট হয়েছে প্রায় ৫৩ হাজার ৭৮৩ হেক্টর জমির আমনের ক্ষেত। এছাড়া, শীতের সবজি, পান, খেসারি ডালসহ অন্যান্য ফসলের আবাদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকদের অনেকেই এনজিও এবং ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আবাদ করেছেন। তাই, ঋণ পরিশোধ করবেন নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন তারা।
এদিকে, জমিতে দ্রুত পানি সেচের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি মাঠে মাঠে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান ভোলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ।
চাঁদপুরে এবার ৫ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে শীতের সবজি চাষের লক্ষ্য ছিলো। কিন্তু, দুইদিনের ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া, সরিষা নষ্ট হয়েছে আড়াইশ হেক্টর জমির। শীতের সবজি উৎপাদনের লক্ষ্য অর্জন হওয়া দেখা দিয়েছে সংশয়। এবার, প্রায় ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছিলো। যার বেশিরভাগই বৃষ্টির পানি জমে নষ্ট হচ্ছে। কৃষিক্ষেত্রে সরকার প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে। শিগগিরই কৃষকদের মাঝে তা পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
এছাড়া, সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ২৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে একাকার হয়ে গেছে ৫ হাজার মাছের ঘের। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য অর্থ সাহায্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আর, বরগুনায় প্রায় এক লাখ হেক্টর জমির রোপা আমন নষ্ট হয়েছে। এছাড়া, প্লাবিত হয়েছে বহু মাছের ঘের।
অন্যদিকে, গোপালগঞ্জে বিস্তীর্ণ এলাকায় আমন ধানের জমি তলিয়ে গেছে। কলইসহ রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে, জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ এখনও ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপন করতে পারেনি।
এছাড়া পটুয়াখালী, পিরোজপুর, শরীয়তপুরসহ অন্যান্য জেলায়ও কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষেতের ফসল।