মোবাইল ফোনসহ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর আমরা তা বাতিল ভেবে ফেলে দেই। কিন্তু এই বাতিল ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য থেকে পাওয়া স্বর্ণ দিয়েই পৃথিবীতে প্রতি বছর ব্যবসা হয় হাজার কোটি টাকার ।
নষ্ট মোবাইল ফোনকে আবর্জনা ভাবলেও প্রায় সব ধরনের ফোনেই ব্যবহার করা হয় বিদ্যুত সুপরিবাহী সোনা, রূপা, তামার মতো মূল্যবান সব ধাতু। ক্ষয় হওয়া ও মরিচা ধরার মতো সমস্যা না থাকায় মোবাইল ফোনের ইন্টিগ্রেটেড সারকিট (আইসি) বোর্ডের ছোট্ট কানেক্টারগুলোতে ব্যবহৃত হয় স্বর্ণ।
হিসেব বলছে, এক একটি ফোনে ৩৪ থেকে ৫০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণ থাকে। পরিমাণে খুব কম হলেও বাতিল হওয়া অনেকগুলো ফোন থেকে পাওয়া স্বর্ণ মিলে শেষ পর্যন্ত তৈরি হয় এক রত্নভাণ্ডার। এগুলো দিয়েই চলে বিশ্বে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা।
বাজারে নতুন ভার্সনের ফোন পেলে অনেকেরই পুরনো ফোন বদলে ফেলার বাতিক রয়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন বাতিল হচ্ছে অসংখ্য ফোন। হিসাব বলছে, ৪১টি মোবাইল ফোন থেকেই পাওয়া যায় ১ গ্রাম সোনা।
ফোনের পাশাপাশি বাতিল হওয়া কম্পিউটার ও ল্যাপটপের আইসিগুলোতেও ব্যবহৃত হয় স্বর্ণ। সেই হিসাবে, বিশ্বে প্রতি বছর বাতিল মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার স্বর্ণ পাওয়া যায়।
আর এভাবেই বাতিল মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ইত্যাদি দিয়ে চলে বড় আর্থিক অঙ্কের কারবার।