জাতীয়, জেলার সংবাদ

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি প্রায় ১০ লাখ মানুষ

শামীম আহমেদ

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ২৮শে জুন ২০২০ ০৮:৩৯:২৪ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

সুনামগঞ্জ, সিলেটসহ দেশের ৮ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে আরো অনেক এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ।

সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নদীর পানি বেড়ে জেলার ১১ উপজেলার শত শত গ্রামে পানি ঢুকেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৬ লাখ মানুষ। বেশিরভাগ উপজেলার সংযোগ সড়ক পানিতে তলিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ।

এদিকে সিলেটে বাড়ছে সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও লোভা নাদীর পানি। এরইমধ্যে গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

অন্যদিকে, কুড়িগ্রামেও বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় ৪০টি ইউনিয়নে আংশিক পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২২টি ইউনিয়নের প্রায় লাখো মানুষ।

আর গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়তে থাকায় বাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ফুলছড়ির ভাষারপাড়া ও মাঝিপাড়া গ্রামসহ আশেপাশের গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে গাইবান্ধা-বালাসীঘাট সড়ক।

এছাড়া, লালমনিরহাটের দেওয়ানী পয়েন্টে তিস্তার পানি এবং শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ৩০টি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আর প্রায় ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

এদিকে, জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতিরও অবনতি হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার অন্তত ১৫টি ইউনিয়ন।

অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়ার পাশাপাশি করতোয়া ও বড়ালসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বেড়েই চলেছে। জেলার কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার প্রায় ২৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

তাছাড়া টাঙ্গাইলে বাড়ছে যমুনা, ধলেশ্বরীসহ সব নদ-নদীর পানি। পানির নিচে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। অব্যাহত রয়েছে ভাঙন। নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি।

আরও পড়ুন