এবারের বর্ষায় নদী ভাঙনের মুখে পড়তে পারে দেশের ১৩টি জেলা। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ি ও মাদারীপুর।
তবে, নদী ভাঙন ঠেকাতে, ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোতে নেয়া হয়েছে আগাম সতর্কতা, বলছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। আর স্বস্তির খবর হচ্ছে, এবার অস্বাভাবিক বৃষ্টির আশঙ্কা নেই, নেই দীর্ঘস্থায়ী বন্যার ভয়ও।
প্রতিবছর বর্ষাকাল এলেই তলিয়ে যায় ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরইমধ্যে যমুনা নদীর পানি বেড়ে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে সিরাজগঞ্জে। গত কয়েক দিনে নেই হয়ে গেছে জেলার প্রায় তিন শতাধিক ঘর বাড়ি, গাছপালা, বিস্তীর্ণ ফসলি জমি।
শুধু সিরাজগঞ্জই নয়, যমুনার এপাড়ের জেলা টাঙাইলও রয়েছে নদী ভাঙনের শঙ্কায়। ঝুঁকিপূর্ণ জেলার তালিকায় আছে পদ্মাপাড়ের রাজবাড়ি, মাদারিপুরও।
এমন পূর্বাভাস পানি উন্নয়ন বোর্ডের ট্রাস্টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সিইজিআইএস এর।
সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান বলেন, প্রায় ১৪টির মত জেলা এর মধ্যে ৪টি জেলা খুব ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এখানে কিছু রাস্তা ঘাট, বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ খুব ঝুকিতে আছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, এবার বড় বন্যার ঝুকি কম হলেও জুলাইয়ের মাঝামাঝি পদ্মা ও মেঘনা অববাহিকায় হতে পারে স্বাভাবিক বন্যা।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, দেশে কম হলেও, ভারত ও নেপালের অতিবৃষ্টি থেকে বাড়তে পারে পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি।
নদী ভাঙন ঠেকাতে, করনীয় ঠিক করতে, আরেক দফা ঝুঁকিপূর্ণ জেলা পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, 'প্রায় ১৬ হাজার কিলোমিটার বাঁধ সব তো আর একসাথে করা যাবে না। পর্যায়ক্রমে করতে হবে। ৫শ' কোটি টাকার কাজ আমরা একজনকে না দিয়ে ১০ জনকে দিতে চাই যাতে সবাই কাজটা পায় তাহলে দ্রুততার সাথে কাজটা হয়ে যাবে।'
তবে, বৃষ্টি হলেই নরম হয়ে যায় চরাঞ্চলের বেলে মাটি। যা নদীর বাধ নির্মাণ প্রকল্পে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।