বাংলার রুপসী কবি জীবনানন্দ দাস জীবদ্দশায় ছিলেন অবহেলিত
রোদ, বৃষ্টি বা জোৎস্না রাতের সৌন্দর্য, ঘাস-পাখি, নদী-সাগর, বাংলার রুপে বিমুগ্ধ কবি পৃথিবীর রুপ দেখিয়াছেন এই বাংলায় তিনি জীবননান্দ দাস, রুপসী বাংলার কবি। বাংলা কবিতা পাঠকের হৃদয় জুড়ে রয়েছেন জীবনানন্দ। কালজয় করে এখনো মুখে মুখে তার অংসখ্য কবিতা।
কবিতাকে ভালবেসে দারিদ্র্যের মালা পড়েছেন গলে। তাঁর কবি হয়ে ওঠার পেছনে ছিল মা কুসুমকুমারী দাসের ভূমিকা। মায়ের চর্চায় তিনি পেয়েছেন ছোট বেলা থেকে সাহিত্যের জ্ঞান। বড় বড় সাহিত্য বুঝিয়ে দিয়েছেন তার মা।
ছোট বেলা গদ্য লেখায় মন ছিল নির্জনতম কবির। ২০ বছর বয়সে নিজেকে খুঁজে পান। হয়ে উঠেন কবি। তবে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ঝরা পালক’ প্রকাশের পর দুর্বোধ্য বলে অভিযুক্ত হন। মনে শঙ্কা জাগে, তাই নিভৃতচারী বাউণ্ডুলে হয়ে ঘুরে ফিরেন নানা স্থানে। বার বার চাকরী ছাড়া, অভাব অনটনে ইতিটেনেছেনে সংসারের।
তবুও জোৎসনা রাতে, নদী নালা, পতঙ্গদের সাথে হাজার বছর বাঁচতে চেয়েছেন এই বাংলায়। ১৮৯৯ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি কবির জন্ম বরিশালে। ক্ষণজন্মা জীবনানন্দ, আজকের দিনে ১৯৫৪ সালে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।