বাবা-মায়ের শখ পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন রাজশাহীর পুঠিয়ার ইমরান হোসেন নামের এক প্রকৌশলী।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার পুঠিয়ার হাড়োগাতি গ্রামের ভরতমাড়িয়া এলাকার একটি ইটভাটায় হেলিকপ্টারটি নামানো হয়। যা দেখতে সকাল থেকে ওই ইটভাটায় শত শত উৎসুক মানুষ অপেক্ষা করেন। পরে পাত্রসহ চারজন যাত্রী উঠেন। বেলা ১২টায় বর ইমরান হোসেন হেলিকপ্টারে করে দিনাজপুরের বিরামপুরে রওনা হন। সেখান থেকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে বিকালে আবার দিনাজপুর থেকে পুঠিয়ায় কনেসহ ফেরত আসেন তিনি। বিয়ের হেলিকপ্টার ভাড়া হিসেবে খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা।
পাত্র ইমরান হোসেন পুঠিয়া উপজেলার হাড়োগাতি গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। তিনি একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী। তার বাবা নৌবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
আর কনে ইফফাত জাহান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী। তিনি দিনাজপুরের বিরামপুর এলাকার সেনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের কন্যা।
বরের বাবা ইসমাইল হোসেন জানান, হেলিকপ্টারে করে আমার ছেলের বিয়ে হবে। এটা আমাদের স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হলো।
এ বিষয়ে পুঠিয়ার শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জানান, পাত্রপক্ষ আমাকে জানিয়েছে হেলিকপ্টার ভাড়া সাড়ে তিন লাখ টাকা লেগেছে। দুপুর ১২টায় বিয়ে করতে হেলিকপ্টারে করে দিনাজপুরে রওনা হয়। ৩২ মিনিটে দিনাজপুরে পৌঁছায়। বিয়ে করে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে দিনাজপুর থেকে স্ত্রী নিয়ে রওনা হয়। ৪টার দিকে পুঠিয়ায় পৌঁছায়।