অতীতের মতো এবারও কিছু এজেন্সি সিন্ডিকেট করে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর অনুমোদন নেয়ার চেষ্টা করছে। এমন অভিযোগ করেছে রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদ।
আজ সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, শ্রমিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে সিন্ডিকেটটি।
শ্রমিক পাঠাতে মালয়েশিয়া সরকারের কাছে বাংলাদেশের ২৫টি এজেন্সির নাম দেয়া অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের সভাপতি টিপু সুলতান। বিষয়টি সুরাহা না হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি।
অতীতে যে ১০টি এজেন্সির সিন্ডিকেট শ্রমিক পাঠানোর নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, তাদের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চান তারা।
রিক্রুটিং এজেন্সিস ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান বলেন, 'অতীতের ১০ সিন্ডিকেট বর্তমানে কিছু লাইন্সেসকে সম্পৃক্ত করে আবারও সিন্ডিকেট গড়ে তোলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।'
তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান যাতে কোনোমতেই অতীতের ১০ সিন্ডিকেটের মতো আবারও ২৫ এজেন্সি অথবা ২৫০ সাব-এজেন্ট দালাল চক্র অনুমোদন দেয়া না হয়'।
সেসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে বিমানের টিকিটের দাম বাড়ার জন্য বিমান বাংলাদেশকে দায়ী করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। কারণ প্রবাসীদের তেমন চাপ না থাকলেও মধ্যপ্রাচ্যের রুটগুলোর বিমান ভাড়া কমেনি। অগ্রিম টিকিটের তারিখ পরিবর্তন করতেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। এসবের পাশাপাশি টিকিট সংকটের কথাও বলছেন প্রবাসী কর্মীরা। তাই টিকিট সিন্ডিকেটের বিষয়ে সরকারের নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সিস ঐক্য পরিষদ।