ভ্রমণ

বিনোদনশূন্য রাতের কক্সবাজার

Kamrul Islam Rubel

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:০৩:১৫ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

সন্ধ্যার পর হোটেলে ফিরে অলস সময় কাটাতে হয় পর্যটকদের। রাতে বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকায় আকর্ষণ হারাচ্ছে পর্যটন নগরী।

দেশের প্রধান পর্যটন শহর বলা হলেও কক্সবাজারে বিনোদনের সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে না। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর হোটেলেই অলস সময় কাটাতে হয় পর্যটকদের। ফলে কক্সবাজার তার আকর্ষণ ও গুরুত্ব হারাচ্ছে বলে মনে করেন পর্যটকরা।

কক্সবাজার, যেন শিল্পীর রঙের তুলিতে আঁকা কোনও ক্যানভাস। রূপে ও দৈর্ঘ্যে বিশ্বের অন্যান্য সৈকতের চেয়ে এগিয়ে। পাহাড়, সমুদ্রের ধারে লম্বা মেরিন ড্রাইভের পাশাপাশি আছে ঝাউবন। পর্যটন মৌসুম ছাড়াও প্রতি বছর ঈদ ও বিভিন্ন উৎসবে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় লেগেই থাকে কক্সবাজারে। অথচ বিনোদনের সুযোগ সুবিধা বাড়ছে না।

সৈকতে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, সন্ধ্যার পর এখানে বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা নেই। যদি, সিনেপ্লেক্স বা অ্যামিউজমেন্ট পার্ক থাকতো তাহলে সময়টা ভালো কাটতো।

সমুদ্র সৈকতে ঘোরাঘুরি কেনাকাটায় দিন পার হলেও সন্ধ্যার পর হোটেলেই অলস সময় কাটাতে হয় পর্যটকদের। তবে, টেকনাফের সাবরাং এক্সক্লুসিভ পর্যটন, নাফ ট্যুরিজমসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নেয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক জানান, কক্সবাজারে পর্যটকদের সমুদ্রের ঢেউ দেখবে আর রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে থাকা ছাড়া বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে, আমরা আশা করছি আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে প্রতিদিনই অন্তত একটা হলেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।

সৈকত সংলগ্ন ঝাউবাগানের পাশে আলোকিত করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাইট মার্কেট স্থাপন এবং রাতে প্রমোদতরির ওপর সমুদ্র বিনোদন নিশ্চিত করা গেলে পর্যটকের সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন