জাতীয়

'বিশেষ মহলের গণমাধ্যম বয়কটের ঘোষণা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র'

শামীম আহমেদ

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ১৯শে অক্টোবর ২০২০ ০৯:৫৯:৩৪ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

বিশেষ একটি মহলের গণমাধ্যম বয়কটের ঘোষণা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করেন সাংবাদিকতার শিক্ষক এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা। বিশেষ বিশেষ গণমাধ্যম বয়কট, নারীর প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো ইত্যাদি খুব সুপরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।

ডাকসু'র সদ্য সাবেক ভিপি নেতা নূরুল হক নুর এবং কয়েকজন ইসলামী বক্তা ৭১-সহ কয়েকটি চ্যানেল বয়কটের আহ্বান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন। শুধু ফেসবুকেই এই আহ্বান সীমিত থাকেনি, পরে বেশকিছু ইউটিউব চ্যানেলে ৭১ টিভি, ডিবিসি নিউজ এবং সময় টিভির সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী বিভিন্ন সংবাদ একত্র করে বানানো হয় ভিডিও।

এইসব ভিডিওর মাধ্যমে মূলত গণমাধ্যমের প্রতি ঘৃণা ছাড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং সাংবাদিকতার শিক্ষকরা বলছেন, খুব সুচতুরভাবে কাজটি করা হচ্ছে।

সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, 'নুর একজন নাগরিক হিসেবে তার অধিকার আছে অপছন্দের একটা টেলিভিশনের চ্যানেলের কথা সে বলতেই পারে। কিন্তু আমরা যথন দেখবো তার এ আহ্বানের সঙ্গে সঙ্গে একটা রাজনৈতিক অপশক্তি সক্রিয় তখন বুঝতে হবে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে চলমান যে ষড়যন্ত্র আছে, এই সংঘটা আসলে কনস্পিরেসির একটা পার্ট।'

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, 'বিশ্বাসযোগ্য গণমাধ্যমের বিষয়ে যখন কেউ বয়কটের আহ্বান জানায় এবং যে বা যারা বয়কটের আহ্বান জানাচ্ছে তার বিশ্বাসযোগ্যতা কতটুকু।'

এমন সব ভিডিওর মাধ্যমে নারীবিদ্বেষ ছড়ানোও বিশেষ উদ্দেশ্যেই করা হচ্ছে বলে মনে করেন তারা। সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান আরো বলেন, 'এটা একটা ভয়ংকর সামাজিক ব্যাধির মত। এই ব্যাধিটার প্রকোপ ক্রমাগত বাড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবেশ করলে এটাকে একটা ইতর সমাজ মনে হয়।'

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক আরো বলেন, 'পাবলিক কমেন্টসের জায়গায় নারী সাংবাদিক, এমনকি সাধারণ একজন নারীর ব্যাপারেও যে ধরনের মতামত দেয়া হয়। এটি শিষ্টাচার বহির্ভূত। একটি গোষ্ঠী দাঁড়িয়ে গেছে, যারা এ তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে গণজীবনকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে।'

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ইউটিউবে মূল ধারার গণমাধ্যম নিয়ে নানা মনগড়া বক্তব্য দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন