বিশ্বকাপের মঞ্চে টাইগারদের বাজে পারফরমেন্সে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্জন কী? ক্যাচ মিসের মহড়া, একশর নিচে অল-আউট, দুর্বল ব্যাটিং-ফিল্ডিং আর ডেথ ওভারে যাচ্ছেতাই বোলিং ইত্যাদি ইত্যাদি। মাঠে টাইগারদের বাজে পারফর্মেন্সের পাশাপাশি জমজমাট ছিল মাঠের বাইরের ক্রিকেটও। এসব নিয়ে ক্ষুব্দ বাংলাদেশের ভক্ত সমর্থকরা।
আইপিএলের ভেন্যুতে খেলা, বিশ্বকাপে তাই স্পটলাইটে ছিলেন সাকিব আর মুস্তাফিজ। কিন্তু পারলেন কই! সাকিবের বোলিং সাইডটা সুখের হলেও ব্যাট হাসেনি আগের মতো। ওদিকে, নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি ডেথ ওভারের কিং মুস্তাফিজ।
টুর্ণামেন্টের শুরুতেই স্কটল্যান্ডের সাথে হোঁচট। শেষ পর্যন্ত দুই ভাই ওমান আর পিএনজির কাঁধে ভর করে সুপার টুয়েলভে পা রাখে বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার সাথে আশা জাগিয়েও ধূসর সমাপ্তি। লিটন দাসকে নিয়ে সমালোচনার শুরুটা ওখান থেকেই। সেই গন্ডি থেকে আর বেরোতে পারেননি লিটন।
প্রেসমিটে ক্যাপ্টেন রিয়াদ বিসিবি কর্তা, মিডিয়া থেকে দেশবাসী সবাইকে শুনিয়ে দিলেন কথা। দেশের জন্য খেলেন তারাই, অন্য কেউ নন। হীতে বিপরীতই হলো, সহানভূতি কম, জুটলো সমালোচনাই।
আরেক কাঠি সরশ ভায়রা ভাই। 'সমালোচকরা মুখ দেখবেন আয়নায়' এমন সব শব্দবোমায় ভরপুর মুশফিকুর রহিম। শ্রীলঙ্কার সাথে ম্যাচটা বাদে তাকে আর আয়না পড়া দিয়েও পাওয়া যায়নি।
বাজে পারফর্মেন্স নিয়ে চলছে সমালোচনা, যেখানে সবার ওপরে মুশফিক আর লিটন। ওদিকে মাঠের বাইরের ক্রিকেট গরম করে দিলেন সাকিবপত্মী।
এরই মাঝে উত্তপ্ত কড়াইয়ে ঘি ঢাললেন অভিনেতা রুবেল। তার মুখ দিয়েই যেন উঠে এল কোটি বাঙালির মনের কথা। তিনি বলেন, তারা যদি বিশ্বকাপের মত মঞ্চে জেনে শুনে আত্মহুতি দেয় তা কোনভাবেই ভালোভাবে মেনে নেয়া যায় না। আমরা তাদের কাছে ভালো কিছুই আশা করি। কিন্তু তাদের এই জেনে শুনে আত্মহুতি দেয়াটা আমরা কোনভাবেই মেনে নিব না।
হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ে সাকিব বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়লেও শিশিরের কর্মদোষে সমালোচনা সইতে হয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকেও। বাকিদের পারফরমেন্সও আশার প্রদ্বীপ জ্বালাতে পারেনি। তাতে ক্ষুব্দ সমর্থকরা।
বাংলাদেশের ম্যাচ বাকি আর একটি, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। মাঠটা মিরপুরের নয়, মনে রাখলে হয়তো একটা জয় আসতেও পারে।