এসএ গেমস

বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে স্বর্ণকন্যা ইতি খাতুন

শামীম আহমেদ

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ৯ই ডিসেম্বর ২০১৯ ০৮:২৩:৫৩ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে কথা রেখেছেন তীরন্দাজ ইতি খাতুন। এবার, সাউথ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক জিতেছেন এই লাল-সবুজের কন্যা। গড়েছেন নতুন রেকর্ডও।

এসএ গেমসে প্রথম নারী অ্যাথলেট হিসেবে এক আসরে ৩ স্বর্ণ জয়ের সম্মান অর্জন করেছেন চুয়াডাঙ্গার এই মেয়ে। হোটেল শ্রমিক বাবা ইবাদত আলীর মেয়ে ইতি এখন বাংলাদেশের গর্ব।

যে বয়সে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাধুলা ও বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা, সে বয়সে বাধ্য হতে হয় বিয়ের আসরে বসতে। বাধ্য হলেও বাল্যবিয়ের বলি হতে চায়নি ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়া মেয়েটি। তখন বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে রক্ষা পায় সে। সে সময় চলছিলো আর্চারির প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচী। হয়তো সেখানেই মুক্তির পথ দেখছিলেন চুয়াডাঙ্গার ইতি খাতুন। যোগ দেন উন্মুক্ত ট্রায়ালে। বদলে যায় তার জীবনের চিত্র। বর্তমানে সে বাংলাদেশের বিস্ময় বালিকা, এসএ গেমসে আর্চারির স্বর্ণকন্যা।

২০১৮ সালে ইতি খাতুন বলেছিলেন, ‘দেশের হয়ে খেলতে চাই, দেশকে কিছু দিতে চাই। কথা রেখেছেন তিনি। সাফল্যের জয়গান গাইতে সময় নিয়েছেন ঠিক দুই বছর। সাউথ এশিয়ান গেমসের ১৩তম আসরে প্রথমবার অংশ নিয়েই করেছেন বাজিমাত। সাফল্যে গড়িয়েছে তার আনন্দ অশ্রু। এতবড় সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ইতি।  স্র্ণজয়ী এই আর্চার জানান, 'আমাদের টিমে আমরা অনেক ভালো ছিলাম, তিনজনই ভালো ছিলাম। ব্যক্তিগতভাবে না হলেও, আশা ছিলো টিমে একটা পদক আসবে। এই গোল্ড পাওয়া আমার কাছে বড় পাওয়া।'

ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় জোর করে দিতে চাওয়ায় বিয়ের আসর থেকে পালিয়েছিলেন আর্চারিকে ভালবেসে। সে প্রসঙ্গে ইতি বলেন, 'আগে আমার বাবার আর্থিক সমস্যা ছিলো, তাই আমাকে বিয়ে দিচ্ছিলো। এখন আর নেই বলে আমি মনে করি। আমার নিজের খরচ আমি নিজে চালাই। তারা এখন আর সেরকম কিছু বলেন না।'

ইতির চোখে এখন অনেক দূর যাবার স্বপ্ন। তিনি আরও বলেন, 'আর্চারি এখনও সবাই চিনেনা। তীর-ধনুক বলে তাদের বোঝাতে হয়। আশা করি, সময় পাল্টাবে একসময়। আমার স্বপ্ন ২০২২ সালের অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করে অংশ নেয়া।'

আরও পড়ুন