কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর সীমিত পরিসরে দোকানপাট খুললেও, বেচাকেনা নেই কেরানীগঞ্জের তৈরি পোশাক পল্লিতে।
ক্রেতা না থাকায় এরইমধ্যে কাজ হারিয়েছেন অসংখ্য শ্রমিক। আর এ অবস্থা চলতে থা0কলে পুঁজি হারিয়ে ও ঋণের দায়ে পথে বসার আশঙ্কা করছেন বেশিরভাগ ব্যবসায়ী।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে গতবছর কয়েক মাস বন্ধ ছিল দেশের অভ্যন্তরীণ তৈরী পোশাক শিল্পের সবচেয়ে বড় বাজার কেরানীগঞ্জের গার্মেন্টস পল্লী। সে লোকসানের ধাক্কা কাটিয়ে চলতি মৌসুমে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিলেন প্রায় ১০ লাখ মালিক-শ্রমিক।
তবে আসন্ন ঈদ মৌসুমের শুরুতে কঠোর বিধিনিষেধের কারণে তাদের চোখে মুখে এখন হতাশার ছাপ।
এদিকে কাজ হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে কয়েক লাখ শ্রমিকের পথে বসার উপক্রম।
করোনায় গেল বছরের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই আবারও এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা। তাই ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফের দাবি তাদের।
কেরাণীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুসলিম ঢালী বলেন, "যারা ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যবসা চালু করেছে তারা বেকায়দায় পড়েছেন। সরকার যদি তিন/ছয় মাসের সুদ মওকুফ করে তাহলে এ ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। তা না হলে ৮০ ভাগ ব্যবসায়ীকে এখান থেকে চলে যেতে হবে।"
লোকসান কাটিয়ে উঠতে সহজ শর্তে ঋণ দেয়ারও দাবি তাদের।