কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বোরো ক্ষেতে নেক ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত জমিতে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ স্প্রে করেও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষক। এদিকে এই রোগ যাতে পার্শ্ববর্তী জমিতে ছড়িয়ে না পরে সেজন্য আক্রান্ত ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে হয়েছে ২৮ ও ২৯ জাতের ধানের আবাদ। এ উপজেলায় ২৮ জাতের অধিকাংশ জমিতে ধানের শীষ আসার পর পরই গোড়ায় পচন ধরে কয়েক দিনের মধ্যেই ওই শীষ চিটায় পরিণত হচ্ছে। কয়েক বছর ধরে এ জাতের ধানের আবাদ করলেও এ ধরনের ক্ষতি হয়নি কখনো।
স্থানীয় এক কৃষক বলেন, 'দুই বিঘা ধান আবাদ করেও ধান ঘরে তুলতে পারছিনা। সব চিটা হয়ে গেছে।'
প্রতি বিঘা জমিতে ধান আবাদ করতে খরচ হয়েছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। অথচ এখন খড় ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয় আরেক কৃষক বলেন, 'দুই বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছি কিন্তু একটা ধানও ঘরে তুলতে পারছিনা। এখন আমরা কী খেয়ে বাঁচবো?'
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রশিদ বলেন, আবহাওয়া তারতম্যের কারণেই ২৮ জাতের ধান ক্ষেতে নেক ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
ঘরে তোলার আগ মুহুর্তে ক্ষেতের ধান চিটা হয়ে যাওয়ায় কৃষক সরকারি প্রণোদনার দাবি জানিয়েছে।