করোনার বিধিনিষেধের কারণে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন যুক্তরাজ্যেসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সিলেটের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
নির্ধারিত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে না পারার পাশাপাশি টিউশন ফি হারানোর শঙ্কাও রয়েছে অনেকের।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য আবেদন করেছেন সিলেটের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। এরইমধ্যে অনেকের ভিসা হয়েছে, আবার অনেকে রয়েছেন পাসপোর্ট জমা দেওয়ার অপেক্ষায়।
কিন্তু, করোনা সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধের কারণে গত ৫ই এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে ভিসা অ্যাপলিকেশন সেন্টার- ভিএফএস এর কার্যক্রম। এমন পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষার্থী ভিসা পেলেও পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারছেন না। যেতে পারছেন না পছন্দের বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
শিক্ষার্থীরা জানান, টিউশন ফি এবং ইন্সুরেন্স ফি পরিশোধ করে তারা এখন বিএফএস খোলার অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদের এপোয়নেমেন্টও নেয়া আছে।
এদিকে, আবেদন করা অনেক শিক্ষার্থীর IELTS ও মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, নির্ধারিত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত না হতে পারলে টিউশন ফি হারানোর শঙ্কা কাজ করছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
শিক্ষার্থীরা জানান, লাখ লাখ টাকা টিউশন ফি হিসেবে দিয়ে দেয়া হয়েছে। এরকম সমস্যা হলে অনেকেই সেশন মিস করবে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সরকার যেন জরুরি সেবার মতো বিএফএস খুলে দেয়।
করোনা পরিস্থিতিতে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশ সীমিত পরিসরে ভিসা সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের অনিশ্চয়তা কাটাতে দেশেও এমন সুযোগ চালুর দাবি সংশ্লিষ্টদের।
ফরেন এডুকেশন কনসালটেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব সিলেট এর সভাপতি মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, 'এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিএফএসকে লকডাউনের বাইরে রাখলে অনেক শিক্ষার্থীর অনিশ্চয়তার জায়গাটা আর থাকবেনা।'