মরিশাসে কাজ করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি নারীর বাবা দেশে ফিরেছেন।
মেয়েকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সেখানে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন তিনিও। ফিরে আসতে পারছিলেন না দেশে। অবশেষে সোমবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় দেশে ফিরেছেন তিনি।
মেয়ের সাথে দেখা দীর্ঘ আট মাস পর। নির্যাতনের হাত থেকে নিজের মেয়েকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন মরিশাস। শর্ত ছিলো দেশে ফিরে আসবে মেয়ে আর তার বদলে কাজ করতে হবে বাবাকে। কিন্তু মরিশাসে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন তিনিও।
শুধু তাই নয়, ফিরতে পারছিলেন না দেশে। অবশেষে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাহায্যে দেশে ফিরলেন তিনি। তিনি বলেন, তারা আমাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেছে যা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। তারা আমাকে দেশে আসতে দিতে চায়নি কারণ আমার মেয়ে তাদের নামে মামলা করেছে। মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য তারা আমাকে আটকিয়ে রেখেছে। আমাকে ঘর থেকেও বের হতে দিত না। তারপর আমি বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা আমাকে সাহায্য করে দেশে আসতে।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ মরিশাসে ফায়ারমাউন্ট টেক্সটাইল কোম্পানিতে কাজ করতে গিয়ে মালিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন বাংলাদেশি নারী কর্মী আসমা আক্তার। এ ঘটনায় জুলাই মাসে মরিশাসে অবস্থানকারী ৪ বাংলাদেশিসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক আখতার হোসেনকে আটকের পর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয় আদালত।