ড্রাগনের পর এবার দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে শুরু হয়েছে মিষ্টি ফল ত্বীন চাষ।
মরুভূমি অঞ্চলের ত্বীন ফলের চাষ হচ্ছে এখন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে। ত্বীন ফল চাষে সফলতাও পেয়েছেন কৃষক। গাছে পর্যাপ্ত ফল আসায় ভালো লাভের আশাও করা হচ্ছে। ডুমুর আকৃতির এই ফল দৃষ্টি কেড়েছে এলাকার মানুষের। এছাড়া, ফলের বাগানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে অনেকের। সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।
করোনায় লোকসানে পড়া নবাবগঞ্জের মতিউর মান্নান ঘুরে দাঁড়াতে গাজীপুর থেকে ৫ জাতের ৯শ' চারা এনে চার বিঘা জমিতে শুরু করেন ত্বীন ফলের আবাদ। চারা রোপনের দেড় মাসের মাথায় ত্বীন গাছে আসতে শুরু করে ফল। স্বল্প সময়ে গাছে ফল আসায় খুশি তিনি। এখন শুধু ফল পাকার অপেক্ষা।
খেতে মিষ্টি ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন ডুমুর আকৃতির এই ফল ঢাকার বাজারে এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রির প্রত্যাশা চাষী মতিউর মান্নানের।
বাগানের ফল দেখতে ও চাষ পদ্ধতি জানতে ভিড় করছেন স্থানীয়রা। এছাড়া ফলের বাগানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে অনেকের। সব ধরনের সহযোগিতা ও এই ফলের চাষ বাড়াতে পরামর্শ দেয়ার কথা জানালেন নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।
সরকারি সহযোগিতা পেলে এই ফলটি রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।