আন্তর্জাতিক, ভারত

'মসজিদ খালি করতে রাজি ছিলেন না মওলানা সাদ'

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ১লা এপ্রিল ২০২০ ০৫:৫৯:৩৬ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

নিজামুদ্দিন মারকাজ মসজিদটি খালি করতে এবং মুসল্লিদের করোনা পরীক্ষায় রাজি ছিলেন না মসজিদের প্রধান এবং তাবলিগ জামাতের একাংশের নেতা মাওলানা সাদ কান্দলভি বলে জানিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।

পরে অজিত দোভালের নেতৃত্বে দিল্লি পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মসজিদ সিল করে দেয়। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার সকালের মধ্যে পুরোপুরি খালি করে মারকজ চত্বর।

 স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অনুরোধেই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন অজিত দোভাল। ২৮শে মার্চ রাত দুটো নাগাদ দিল্লির নিজামুদ্দিন মার্কাজে মসজিদে পৌঁছান দোভাল ৷ এর পর তিনিই মাওলানা সাদকে বোঝান যে ধর্মীয় সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে কোয়ারেন্টাইন করা প্রয়োজন।

এর আগে, ৯ জন করোনা আক্রান্ত ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক ওই মসজিদের সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। তাদের চিহ্নিত করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই সূত্রেই গোটা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন অমিত শাহ এবং অজিত দোভাল ৷ যেহেতু দোভালের সঙ্গে মওলানা সাদের সম্পর্ক ভালো, তাই মসজিদ খালি করার জন্য তাকেই দায়িত্ব দেন অমিত শাহ। তার চেষ্টাতেই মসজিদটি খালি করতে রাজি হয় কর্তৃপক্ষ ৷

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যাবতীয় বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে গত ২১শে মার্চ দিল্লির ওই মসজিদে প্রায় দেড় থেকে দু' হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে বহু বিদেশিও ছিলেন ৷ সমাবেশে হাজির অনেকের শরীরেই করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৷ সমাবেশে আসা অনেক মানুষই নিজ নিজ রাজ্যে ফিরে গেছেন ৷ তাদের  চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার ৷

কেন্দ্রের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, ওই সমাবেশে অন্তত ২১৬ জন বিদেশি নাগরিক হাজির ছিলেন। তারা অধিকাংশই ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশে থেকে এসেছিলেন।

এদিকে, ভারতে মহামারি আইনের ৩ নম্বর ধারায় মাওলানা সাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, গত তিনদিনে নিজামুদ্দিন মারকাজ তাবলিগ জামাত থেকে দেড় হাজারের বেশি মানুষকে সরানো হয়েছে। এর মধ্যে করোনা সন্দেহে ৪৪১ জনকে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। 

আরও পড়ুন