করোনার এই সময়টায় বারবার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর জোর দিতে বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চার মাস শেষ হতে চললো ক্রিকেটাররা ঘরবন্দি। ঘরোয়া ট্রেনিংয়েই ফিটনেস ধরে রাখার চেস্টা। সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে মাঠে ফেরার আকুতি।
করোনাকালে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে শখের কোন কাজ করে নিজেকে ব্যস্ত রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।
জাতীয় দলের ক্যাম্প থাকুক বা নাই থাকুক, একজন প্রায় রোজই মাঠে থাকেন। ঘন্টার পর ঘন্টা কাটান ব্যাট, বল আর ফিটনেস ট্রেনিংয়ে। সেই মুশফিক হোম অব ক্রিকেটে পা ফেলেছেন প্রায় চার মাস পর। করোনাকালের অসহায়ত্ব মুশির কথায় ‘মিস করছি চমৎকার এই ভেন্যূকে। একমাত্র সর্বশক্তিমানই জানেন কবে আবার আমরা অনুশীলন শুরু করতে পারবো!
শুধু মুশফিকই নয় করোনাকালে বাকি সব ক্রিকেটারের অবস্থাটা একই। ঘর বন্দী সময় কাটছে পরিবার, পরিজন নিয়ে। বিসিবির দেওয়া রুটিন মেনে ফিটনেস নিয়েও কাজ করছেন। কিন্তু সবুজ মাঠে কখনো লাল আবার কখনো সাদা বলের যে হাতছানি সেটাতো মিস করছেন। দুঃস্বপ্নেও যে ভাবতে পারেননি ক্রিকেট ছাড়া থাকতে হবে এতোটা দীর্ঘ সময়।
করোনাকালে উদ্বেগ, আতঙ্ক, মৃত্যুভয়। সব মিলিয়ে একঘেয়ে জীবন। অবসাদ, বিষণ্নতা বাড়ছে। ছুটে চলা যাদের কাজ সেই ক্রিকেটারদের জন্যও এই সময়টা ছুড়ে দিচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ। মানসিক অবসাদ কাটাতে বিশেষজ্ঞরা বাতলে দিচ্ছেন নানা পথ।
করোনাকালের শুরু থেকেই দেখা গেছে ক্রিকেটাররা কেউ রান্না করছেন, কেউ ছবি আকছেন। ঘরোয়া ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যটা ঠিক রাখতে এসবেই আপাতত থাকতে হবে ব্যস্ত।
ক্রিকেটাররাও জানেন জীবনের চেয়ে বড় আর কিছুই নয়। কিন্তু যাদের কাছে ক্রিকেটই জীবন আর জীবিকা, অধির আগ্রহে তারা পথ চেয়ে এই অসময় কেটে যাবে শীগগিরই।