সাত মাস বয়সি মাবিয়া। ছোট্ট এই শিশুর মাথায় দুই কেজি ওজনের টিউমার। জন্মের সময় টিউমারটি ছোট থাকলেও দিনদিন তা বাড়ছে। কিন্তু শিশুটির চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই তার দরিদ্র বাবা-মা'র।
শেরপুরের লছমনপুরে তালুকপাড়া গ্রামের রিকশাচালক আব্দুল জলিলের ঘরে জন্ম মাবিয়ার। জন্মের সময়ই মাথায় টিউমার নিয়েই পৃথিবীর আলোর মুখ দেখে শিশুটি। এখন মাবিয়ার বয়স সাত মাস। বয়সের সাথে সাথে বেড়েছে টিউমারটি। দরিদ্র পরিবারের সামর্থ্য নেই মাবিয়ার চিকিৎসার। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রাথমিক চিকিৎসা হলেও, টাকার অভাবে এখন তাও বন্ধ।
সন্তানের চিকিৎসায় বিত্তবানদের সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান তার বাবা-মার। মাবিয়ার বাবা বলেন, ডাক্তাররাও এখন আর চিকিৎসা করছেন না। কিছু টাকা ছিলো সব শেষ হয়ে গেছে। এখন টাকাও নাই চিকিৎসাও করতে পারছিনা।'
মাবিয়ার মা বলেন, 'সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি আমার বাচ্চার সুচিকিৎসার জন্য।'
টিউমারটির ওজন এখন প্রায় দুই কেজি। দ্রুত উন্নত চিকিৎসা না হলে মাবিয়ার অবস্থা আরও খারাপ হবে, বলছেন চিকিৎসকেরা। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, 'তার পয়ুপথটা এখনও তৈরি হয়নি যেটা অপারেশনের জিনিস। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্স যেটা শেরে বাংলানগরে। সেখানে চিকিৎসা করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।'
সম্প্রতি টিউমারসহ শিশুটির একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ালে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেয় জেলা প্রশাসন। শিশু মাবিয়ার উন্নত চিকিৎসায় হাত বাড়িয়ে দেবেন সমাজের বিত্তবানেরা-- এমন প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।