ফাঁকা বাসা কিংবা দোকান। এ সুযোগেই তালা ভেঙে সবকিছু নিয়ে চলে যাচ্ছে একটি চক্র। সম্প্রতি রাজধানীতে বেড়ে গেছে এসব চুরি ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা। পুলিশ বলছে, মাদকের টাকা যোগাতে এসব কাজ করে ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সি কিছু যুবক। তাদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় এসব চুরি ও ডাকাতির ঘটনা বেড়েছে। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে ফাঁকা বাসা ও দোকানের সাঁটার কেটে চুরি করছে একটি চক্র। চক্রের কয়েকজন জানিয়েছে, মাদকের টাকা যোগাতেই এই কাজ করে থাকে তারা। রাজধানীর বাড্ডা, ফার্মগেট ও তেজগাঁও এলাকায় সক্রিয় তারা।
বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হলেও, পুনরায় এই পেশায় যুক্ত হয় তারা। এদের পরিচালনা করে এলাকাভিত্তিক বিশেষ মহল। চুরি-ডাকাতির সব মালামাল কিনেও নেয় তারা।
এসব সিঁধেল চোর কিংবা ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ধরা পড়েছে চক্রের ৩৪ সদস্য। গোয়েন্দারা বলছেন, ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে খুব অল্প সময়ে চুরি কিংবা ছিনতাইয়ে দক্ষ এরা।
উত্তরা গোয়েন্দা বিভাগের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার কায়সার রিজভী কোরায়েশী বলেন, "যেই বাসাটা টার্গেট করে সেটা নিয়ে রেকি করে তারা। একটি কাজ করতে গেলে কমপক্ষে ৩-৪ জন লোক থাকে তারা।"
গোয়েন্দারা জানান, চুরি-ছিনতাই থেকে শুরু করে বড় ধরনের ডাকাতিতেও জড়ায় এরা। এদের পরিচালনাকারীদের ধরার চেষ্টা চলছে।
উত্তরা গোয়েন্দা বিভাগের (ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী শফিকুল আলম বলেন, "এই ছোট খাটো চুরি যে ডাকাতির পর্যায়ে চলে যায় এটা তারা বুঝতেই পারে না। অনেক সময় না বুঝেই এগুলো করে তারা।"
পুলিশ বলছে, এ ধরনের চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধে দরকার সবার সচেতনতা। এছাড়া দারোয়ান বা মালি নিয়োগে সতর্কতার পাশাপাশি থানায় তাদের তথ্য দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।