চরম মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে নিজের স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে হত্যা করেন প্রকৌশলী রকিবউদ্দিন।
সুদের বিনিময়ে কোটি টাকা ধার। অনলাইনে জুয়া খেলে সব টাকা নষ্ট। পাওনাদারদের চাপ। এসব নিয়ে পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনদের অবিশ্বাস। রাজধানীর দক্ষিণখানে চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলার এই আসামিকে গ্রেপ্তারের পর বের হয় হত্যা রহস্য।
গেলো ১৪ই ফেব্রুয়ারি রাজধানীর দক্ষিণখানের প্রেমবাগানের একটি বাসা থেকে উদ্ধার হয় এক নারী ও তার দুই শিশু সন্তানের মরদেহ।
হত্যা রহস্য উদঘাটনে থানা পুলিশের পাশাপাশি ছায়াতদন্ত শুরু করে ডিবির বিমানবন্দর জোনাল টিম। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় হাতে লেখা একটি ডায়েরি। গোয়েন্দাদের ধারণা ওই নারীর স্বামী রকিবউদ্দিনেরই ডায়েরি হবে সেটি। যাতে লেখা ছিল তার অনেক হতাশার কথা। সেই সূত্র ধরে জাল বিস্তার করে গোয়েন্দারা। অবশেষে ৭ই এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়ীয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
পেশায় প্রকৌশলী রকিব পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানান জুয়া খেলার জন্য নানাজনের কাছ থেকে ১ কোটি টাকাও বেশি ধার নেন তিনি। অন লাইনে জুয়া খেলে হেরে যাওয়ায় সে টাকা আর ফেরত দিতে পারছিলেন না।
দীর্ঘদিন হতাশায় ভুগে ও আর্থিক চাপে স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। এরপর গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথমে স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে, পরে ৪ বছরের কন্যা, এরপর ১০ বছরের ছেলেকে শ্বাশরোধ করে হত্যা করেন তিনি।
পুলিশ বলছে স্ত্রী, সন্তানদের খুন করার পর ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় ভিক্ষুক এবং পাগলের ছদ্মবেশ ধারণ করে ঘুরতে থাকেন রকিব।
এই ঘটনাকে সামাজিক অবক্ষয় ও পারিবারিক অশান্তির উদাহরণ বলছে পুলিশ।