ম্যারাডোনার সম্মানে বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপের দুই ম্যাচের মাঝের বিরতীতে এক মিনিটের নীরবতা পালন করেন ক্রিকেটাররা।
তিনি ফুটবল ঈশ্বর হিসেবে খ্যাত। কিন্তু শুধু ফুটবলারদের নয় বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গণেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ একজন। তার মৃত্যু শোকে কেঁদেছে বাংলার ক্রিকেটাররাও। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটেও নেমে এসেছে নীরবতা।
এ পৃথিবী একবার পায় তারে পায় নাকো আর। তাকে হারিয়েছে পৃথিবী, হারিয়েছে চীর দিনের জন্য। ম্যারাডোনা চলে গেছেন আরেকটা জগতে। সে জগতে নিশ্চিত আনন্দের বন্যা বইছে, পৃথিবীকে বিনোদনে ভরিয়ে দেয়া মানুষটা এখন থেকে তাদের কাছে। আর এই পৃথিবীটা বড্ড স্তব্ধ ম্যারাডোনাকে হারিয়ে।
যে স্তব্ধতা নেমে এলো মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটেও। চার-ছক্কার জমজমাট টি টোয়েন্টির আসরও যেন রংহীন ফুটবলের মহানায়কের চলে যাওয়ায়। দিনের প্রথম ম্যাচের শেষে আর দ্বিতীয় ম্যাচের আগে ক্রিকেটাররা সবাই দাঁড়িয়ে গেলেন মাঠে। শের ই বাংলার জায়ান্ট স্ক্রিন তখন ম্যারাডোনার দখলে।
আগের রাতেই ম্যারাডোনার হঠাৎ মৃত্যুর খবর কাঁদিয়েছে সাকিবদের। এবার এক মিনিটের নিরবতায়ও হৃদয়ে যে বিউগলের করুন সুর। হয়তো চোখের পানি আড়ালের চেস্টাও করে গেছেন কেউ কেউ।
ফুটবল ঈশ্বরের সম্মানে থমকে গেছে গোটা মিরপুর স্টেডিয়াম। বিশ্বের সব খেলার সব খেলোয়াড়দের জন্য অনুপ্রেরণা যিনি তাকে জানানো হলো সম্মান আর ভালোবাসা। শুধু দুই দলের ক্রিকেটার নয়, সাপোর্ট স্টাফ, বিসিবি কর্মকর্তা, মাঠকর্মী সবাই।
চারিদিকে নীরবতা। হোম অব ক্রিকেটের জায়ান্ট স্ক্রিনটাই যেন শুধু বলছে পৃথিবী যত দিন, ম্যারাডোনা ততাদিন।