টিউলিপ-রুশনারা-রূপা ছাড়াও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাত প্রার্থী লড়ছেন যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে।
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে ব্রেক্সিট ইস্যু প্রাধান্য পেলেও দেশটির পার্লামেন্টে এবার বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলোতে লড়ছেন টিউলিপ-রুশনারা-রূপা ছাড়াও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাতজন প্রার্থী।
এবারের নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিককে। লেবার পার্টির প্রার্থী লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড কিলবার্ন আসন থেকে পরপর দুইবার পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। ছিলেন ছায়া মন্ত্রীসভার সদস্যও। এবার তাকে হাতছানি দিচ্ছে রেকর্ড হ্যাটট্রিক জয়ের।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নিজ আসনের পূর্ব ইউরোপীয় ও মুসলিম ভোটারদের সমর্থন টিউলিপের জয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। লন্ডনের আসনগুলোর মধ্যে এবারও সেখানেই সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটের লড়াই হবে।
আরেক ব্রিটিশ-বাংলাদেশি রূপা আশা হক ২০১৫ সালে বিরোধী লেবার পার্টি থেকে লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল ও একটন আসন থেকে প্রথমবার আইনপ্রণেতা নির্বাচিত।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুশনারা আলী লন্ডনের বেথনাল গ্রিন ও বো আসন থেকে লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়ে আসছেন ২০১০ সাল থেকে। রুশনারা আলীকে ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উজ্জ্বলতম দাবিদার হিসেবে উল্লেখ করেছে ব্রিটেনের রাজনৈতিক পত্রিকা নিউ স্টেটম্যান। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম বাংলাদেশি এ নারী আইনপ্রণেতা এবারও তার দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন। বাংলাদেশি অধ্যুষিত তার নির্বাচনি এলাকাটি লেবার পার্টির নিরাপদ আসন।
তিন বাঙ্গালি কন্যা ছাড়াও নতুন করে বাংলাদেশি-বংশোদ্ভূত আরও চার নারী মনোনয়ন পেয়েছেন। লন্ডনের কেনজিংটন অ্যান্ড চেলসি আসন থেকে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন টাওয়ার হ্যামলেসের সাবেক কাউন্সিলর রাবিনা খান। একই দল থেকে কার্ডিফ সেন্ট্রাল আসনের মনোনীত প্রার্থী মৌলভীবাজারের মেয়ে ডাঃ বাবলিন মল্লিক। এছাড়া, ডাঃ আনোয়ারা আলী কনজারভেটিভ পার্টি থেকে এবং পূর্ব লন্ডনের পপলার ও লাইম হাউজ থেকে আফসানা বেগম লেবার পার্টি থেকে পেয়েছেন চূড়ান্ত মনোনয়ন।