বিবিধ, স্বাস্থ্য

যৌনজীবনে মানসিক রোগ কী প্রভাব ফেলে?

Md. Riad Hossain

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ২৭শে এপ্রিল ২০২২ ০৩:৩৮:২১ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

স্কিৎজোফ্রেনিয়ার লক্ষণগুলো ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। একইভাবে এসব প্রভাব কমানোর জন্য ওষুধ, থেরাপি ও দৈনন্দিন সহায়তার ধরনও ব্যক্তিভেদে আলাদা। তবে স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত প্রায় সবার ক্ষেত্রে রোগটি দৈনন্দিন জীবনে বড় প্রভাব ফেলে। এমনকি তাদের যৌনজীবনও নানাভাবে প্রভাবিত হয়।

স্কিৎজোফ্রেনিয়াকে এখনও খুব ভালো করে ব্যাখ্যা করা যায়নি। কিশোর বা যুবা বয়সের শুরুতে রোগটির আক্রমণের সময় আক্রান্ত ব্যক্তি বা চিকিৎসক বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একে উদ্বেগ বা বিষণ্ণতার লক্ষণ ভেবে ভুল করেন। স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্তরা বিভ্রম ও বাস্তবতার পার্থক্য সহজে বুঝতে পারেন না। অনেকে মনে সারাক্ষণ জেঁকে থাকে নিরানন্দ, কেউ কেউ আবার নিজেদের আবেগকে প্রকাশ বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। অন্যের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও জটিলতা অনুভব করেন অনেকে।

স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত প্রায় সবার ক্ষেত্রে এই রোগটি দৈনন্দিন জীবনে খুব বড় প্রভাব ফেলে। এমনকি তাদের যৌনজীবনও নানাভাবে প্রভাবিত হয়। গবেষকেরা বলছেন, স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্তরাও আর সব মানুষের মতোই যৌনতা ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে আগ্রহী। তবে তাদের জন্য সঙ্গী পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ, স্কিৎজোফ্রেনিয়ার উপসর্গগুলো এ ধরনের সম্পর্ক তৈরি করতে বাধা দেয়।

যারা সঙ্গী খুঁজে পান তারা জানিয়েছেন, রোগের কারণে তারা যৌন আকর্ষণ অনুভব করতে বা যৌনতার সময় পূর্ণ মনোযোগ দিতে সমস্যায় ভোগেন। যৌন চাহিদা প্রকাশেও মানসিক বাধার সম্মুখীন হতে হয়।স্কিৎজোফ্রেনিয়ার উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধের কারণে অনেকের কামশক্তি, যৌন সংবেদনশীলতা ও অরগাজমে সমস্যা হতে পারে।

স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত অনেকের যৌনতার অনুভূতি আবার প্রচণ্ড তীব্র (হাইপারসেক্সুয়ালিটি) হতে পারে। স্কিৎজোফ্রেনিয়া আক্রান্তদের অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ ও যৌন রোগে ভোগার একটি ব্যাখ্যা এখান থেকেই পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন