জাতীয়, সংবাদের ভিডিও

রপ্তানির আড়ালে বছরে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচার, অনুসন্ধানে দুদক

ময়ূখ

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ২৪শে জানুয়ারী ২০২১ ০৬:০১:৪৮ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

রপ্তানির আড়ালে বছরে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচার; অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন, দুদক। অর্ধশত পোশাক কারখানা মালিক দুদকের নজরদারিতে রয়েছেন। 

আন্তর্জাতিক একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এদিকে ঢাকার সাভারের 'একেএম নিটওয়্যারের' ১শ' ৭৫ কোটি টাকা অর্থপাচারের অভিযোগ পেয়ে মাঠে নেমেছে সংস্থাটি। নজরদারিতে রাখা হয়েছে প্রায় অর্ধশত গার্মেন্ট মালিককে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএফআই এর সবশেষ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, পন্য আমদানি রপ্তানির আড়ালে গত সাত বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা। এ হিসেবে প্রতিবছর গড়ে পাচার হয়েছে ৬৪ হাজার কোটি টাকা। জিএফআই বলছে মূল্য ঘোষণার বাড়তি অংশের অর্থই পাচার হচ্ছে বিদেশে, এই প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানে নামেছে দুদক।

প্রতিবেদনটিতে অর্থ পাচারের পরিমাণ ও পাচারের পদ্ধতির বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও পাচারকারীদের নাম নেই। তবে তাদের শনাক্তে এখন মাঠে নেমেছে একটি অনুসন্ধান টিম।

দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, "অভিযোগটি ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচার সংক্রান্ত। এই অভিযোগটি পেয়ে দুদক তদন্ত শুরু করেছে। আর এটাই সর্বোচ্চ অংকের অর্থ পাচারের অনুসন্ধান করছে দুদক।"  

পাচারকারীদের শনাক্তে মাঠে নামার পরই গোয়েন্দা তথ্য পায় দুদক। এরইমধ্যে তারা জানতে পারে পণ্য রপ্তানির আড়ালে অর্থপাচার করেছে সাভারের পোশাক রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান আল মুসলিম গ্রুপের একেএম নিটওয়্যার। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ ও ১৬ সালে ১৭৫ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করেছে। কিন্তু এই টাকা দেশে আসেনি। এমন তথ্যের উপর অনুসন্ধানে নামে দুদক।

এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, "আল মুসলিম গ্রুপের মালিকদের ১৭৫ কোটি টাকা পাচারের কথা বলা হয়েছে। এ অর্থ আমাদের দেশের ও জনগণের। এত অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাচার কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না এবং দুদক মেনেও নেবে না।"   

আরও পড়ুন