আজ ২৫শে বৈশাখ। বাঙালির প্রাণের মানুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের এ দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সাহিত্যের অনন্য ব্যক্তিত্ব, কালজয়ী কবি, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
এখনো সুখে-দুঃখে বিশ্ব বাঙালির বড় আশ্রয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তার সৃষ্টিশীলতায় আজো মুগ্ধতার রং ছড়ানো। যত দিন যাচ্ছে নতুন আলোয় উদ্ভাসিত হচ্ছেন বাঙালি এই মনীষী।
বাংলা আর বাঙালির নবজাগরণের অন্যতম পথ প্রদর্শক রবি ঠাকুর মানুষে মনে জায়গা করে নিয়েছেন অনন্য আলো হয়ে। সাহিত্যের এমন কোনও শাখা নেই যেখানে তার ছোঁয়া লাগেনি। তার গান প্রতিদিন প্রতিক্ষণ দোলা দেয় বাঙালি মনে।
দু'বছরের নানা সংকট কাটিয়ে এবার নানা আয়োজনে পালন করা হবে রবীন্দ্রজয়ন্তী। এ উপলক্ষ্যে তিন দিনের নানা আয়োজন করছে শিল্পকলা একাডেমি, ছায়ানট, উদীচীসহ দেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।
মহান এই পুরুষের জয়ন্তী উপলক্ষ্যে এবার শিল্পকলা একাডেমি রবীন্দ্রস্মৃতিচিহ্নে নানা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ বছর জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হবে রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে। রবিবার দুপুর আড়াইটায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি।
আমৃত্যু আশাবাদ আর শুভবোধের জয়গান গেয়ে চলা রবি ঠাকুরের সুর ও বাণীতেই সকল বিপদ মোকাবিলা করার শক্তি খুঁজে পায় মানুষ। যতোদিন বাঙালির জয়যাত্রা ততোদিন ভাস্বর থাকবেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি চিরদিনের, চিরকালের।