রাজধানীর শাক্যমুনি বিহারে পালিত হয়েছে বৌদ্ধধর্মের কঠিন চীবর দান উৎসব। শুক্রবার দিনব্যাপী পঞ্চশীল গ্রহণ, বুদ্ধপূজা উৎসর্গ ও ধর্মীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এ দানোৎসব পালন করা হয়।
দিনশেষে পূণ্যার্থীরা প্রদীপ পূজার মাধ্যমে শেষ করেন এ দানের আনুষ্ঠানিকতা।
মিরপুরের শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানের প্রথম পর্বে বুদ্ধপূজায় অংশ নেন শিশুসহ নানা বয়সের পূণ্যার্থীরা। পরে ধর্ম সংগীত ও চীবর দানের সংগীত পরিবেশন করে শাক্যমুনি বিহারের শিশু শিল্পীরা।
পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের সংঘরাজ তিলকানন্দ মহাথেরোর নেতৃত্বে পঞ্চশীল গ্রহণ করেন বৌদ্ধ পূণ্যার্থীরা।
উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতায় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য নিজের বোনা কঠিন চীবর দান করেন পূণ্যার্থীরা।
তুলা থেকে সুতা সংগ্রহ করে তা চরকায় কেটে ২৪ ঘন্টায় চীবর বা বিশেষ পরিধেয় বুনে পূণ্য লাভের আশায় তা ভিক্ষুদের দান করাই হলো কঠিন চীবর দান।
শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ প্রজ্ঞানন্দ মহা থেরো বলেন, "এই চীবর যারা গ্রহণ করেন, তারা ভিক্ষুসীমায় গিয়ে মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে তারা কঠিন চীবর হিসেবে পরিণত করেন।"
বৌদ্ধ ধর্ম শাস্ত্র মতে, চীবর দানে পৃথিবীর সকল দানের চেয়ে ১৬ গুণ বেশি পূণ্য লাভ করা যায়। তাই কঠিন চীবর দানকে দানোত্তম বা দানশ্রেষ্ঠ বলা হয়।
সবশেষে বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে প্রদীপ পূজা ও সঙ্গীতের মাধ্যমে শেষ হয় চীবর দান অনুষ্ঠান।